সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। শিশু-কিশোর, মানসিক রোগী আর পরকীয়া প্রেমঘটিত বিষয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা থাকলেও বেশির ভাগই পিতা-মাতার ওপর অভিমান করে আত্মহত্যা করছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মোবাইল কিনে না দেওয়ায় অভিমানে সোহাগ হোসেন (১২) নামের এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে। এনিয়ে গত ৩ দিনে এই উপজেলায় চারজনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ রবিবার শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের জামিরতা কাশিপুর গ্রাম, শনিবার (২৬) জুন পোরজনা ইউনিয়নের বাচড়া গ্রাম, রেশমবাড়ি গ্রাম ও শুক্রবার (২৫ জুন) গালা ইউনিয়নের জামিরতা কাশিপুর গ্রামে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন সোহাগ হোসেন (১২) সে গালা ইউনিয়নের জামিরতা কাশিপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে ও জামিরতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। আব্দুল মতিন (৫৬) তিনি পোরজনা ইউনিয়নের বাচড়া গ্রামের মৃত হোসেন মোল্লার ছেলে। সুজন প্রামানিক (২৫) তিনি একই ইউনিয়নের রেশমবাড়ি গ্রামের আবুল প্রামানিকের ছেলে, সজিব (৮) সে জামিরতা কাশিপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।
শাজাদপুর থানার ওসি শাহিদ মাহমুদ খান জানান, কাশিপুর গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে সোহাগ বেশ কিছুদিন ধরে বাবা-মায়ের কাছে একটি মোবাইল ফোন দাবি করে আসছিল। কিন্তু তার অভিভাবকেরা কিছুদিন পরে দেবে বললে শনিবার রাত থেকেই অভিমান করে বসে সে। একপর্যায়ে রবিবার সকাল ৭টায় সকলের অজান্তে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে সে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ছাড়া গতকাল শনিবার দুপুরে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে আবদুল মতিন। সে মানসিক রোগী ছিল বলে জানিয়েছেন তার পরিবার। একই দিন বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে পোতাজিয়া ইউনিয়নের রেশমবাড়ি গ্রামে নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সুজন প্রামানিক। প্রায় সাত মাস আগে তার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। একই গ্রামের অন্যজনের সঙ্গে স্ত্রীর সংসার করা মেনে নিতে না পেরে সুজন আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেছে তার পরিবার। এর আগে গত শুক্রবার বিকেল ৪টায় উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নে কাশিপুর গ্রামে আব্দুল মালেকের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু পুত্র মো. সজিব (৮) মায়ের সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।