জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর বাজার থেকেস ইসলামপুরের রামদিয়া বাজার পর্যন্ত প্রা ৪ কিলোমিটার মতো সড়কের বেহাল দশা দেখা দিয়েছ। যার প্রেক্ষিতে এই সড়কে চলাচলকারী জনসাধারণ এর দূর্ভোগের শেষ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়ন ও ইসলামপুর ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে বহরপুর – রামদিয়া সড়কটি প্রবাহিত। সাড়ে ৪ কিলোমিটারের এই সড়কটি ছোট বড় সকল গাড়ী চালকদের নিকট একটি মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বহরপুর বাজার থেকে রামদিয়া সড়কে হাজার হাজার খানা খন্দ আর ৮৫℅ থেকে ৯০℅ সড়কে নাই খোয়া বিটুমিন। শুকনা থাকলে তবুও একটু চলাচল করা যাঋ। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কটি নদীতে রুপান্তরীত হয়ে ওঠে। আর এসময় সড়কে চলাচলকারী গাড়ীর চালকগণ পড়েন বড় বিপাকে। গর্তের অবস্থান বুঝতে না পেরে পড়ে যান গভীরে। এতে করে গাড়ীর ক্ষতিসহ যাত্রীদের অনেক ক্ষতিই হয়।
এবিষয়ে কথা হয় এই সড়কে চলাচলকারী ট্রাক, মাইক্রোবাস, ইজি বাইক, অটোরিক্সা, অটোভ্যান? নছিমন, করিমন, আলমসাধু চালকদের সাথে। তারা বলেন, বহরপুর থেকে রামদিয়া বাজার পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ ৪/৪ বছর ধরে সংস্কারের অভাবে পড়ে আছে। রাস্তার বিভিন্নস্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে এই রাস্তায় গাড়ী চালাতে কষ্ট হয়। রাস্তা খারাপ থাকায় অনেক সময় দূর্ঘটনায় পড়তে হয়। গাড়ীর যন্তাংশ নষ্ট হয়। মালামাল পরিবহণ করতে অনেক বেগ পেতে হয়। কখনো কোনো রোগী বহণ করতে গেলে এই রাস্তায় অনেক কষ্ট হয়। সময় মতো রোগী নিয়ে গন্তব্যে পৌছানো সম্ভব হয় না। একারণে রোগীর ক্ষতিও হয়। বহরপুর – রামদিয়া সড়কটি দিয়ে গান্ধিমারা, বেলগাছী, সোনাপুর, বোয়ালিয়া, কালুখালী, পাংশাসহ অনেক জায়গার সাথে সংযোগ রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে অতি দ্রুত জেলার সাথে যোগাযোগ স্থাপণ করা সম্ভব হয়। তাই এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন।
বহরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধাপ শিক্ষক শ্রী মৃণাল কান্তি সিকদার বলেন, রামদিয়া টু বহরপুর সড়কটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক দিয়ে সোনাপুর, কালুখালী, পাংশা, বেলগাছী, মদাপুর যাওয়া আসা করা যায়। এই সড়কটির পাশে অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্স, বহরপুর উচ্ছ বিদ্যালয়, বহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদনগর আলীম মাদ্রাসা, বহরপুর ডিগ্রী কলেজ, জেলার ঐতিহ্যবাহী বহরপুর হাট অবস্থিত। এই সড়কটি দিয়ে কোমলমতি ছাত্রছাত্রী ও হাটে আসা ক্রেতা বিক্রেতারা যাওয়া আসা করে। সড়কটির বেহাল দশা হওয়ায় অহরহ দূর্ঘটনা ঘটে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে অনেকেই। সড়কটি দ্রুত সংস্কার দরকার।
স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৩/৪ বছরকাল যাবৎ রামদিয়া টু বহরপুর সড়কটি নাজুক অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অসুবিধায় পড়ছে এই সড়কে চলাচলকারীরা। আমাদের দাবী যেন খুব তারাতারী এই সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়।
বেশ কয়েকজন যাত্রীরা বলেন, আমরা নিয়মিত এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করি। যেখানে রামদিয়া থেকে বহরপুর আসতে সময় লাগে ১৫ মিনিট। রাস্তা ভাঙ্গাচুরা থাকার কারণে সময় লাগছে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা। আর রাস্তা ভাঙ্গা থাকায় মাজার ব্যাথা, বুকের ব্যাথাসহ শরীরের অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। উন্নয়নশীল সরকারের কাছে জোর দাবী খুব শিঘ্রই এই রাস্তাটি মেরামত করা হোক।
স্থাণীয় সামাজিক সংগঠন সোনার বাংলা সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সংসদের আহ্বায়ক এস, এম হেলাল খন্দকার বলেন, বহরপুর টু রামদিয়া সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গাচুরা অবস্থায় রয়েছে। সড়কে শত শত স্থানে ইট, খোয়া বিটুমিন উঠে গিয়ে মিনি পুকুরের জন্ম হয়েছে। মাঝে মধ্যেই ছোট বড় গাড়ী এসব গর্তে পড়ে বিরম্বনার শিকার হচ্ছে। এসব দেখে আমরা এলাকার যুবকদের সাথে নিয়ে গর্তগুলোতে ইট, খোয়া দিয়ে ভরাট করি। বৃষ্টির পানিতে আর গাড়ী চলাচল করায় আবার যা তাই হয়ে যায়। এখন দ্রুত সড়কটির সংস্কার হওয়া প্রয়োজন। আর তা হলে জন দূর্ভোগ লাগব হবে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর বাদশার মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জেলা কর্মকর্তাদের সাথে আলাপের পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কলাম আজাদ বলেন, আমার জানা মতে সোনাপুর থেকে জামালপুর ২২ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজের টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। এবছরেই হয়তো কাজ শুরু হবে। সোনাপুর বাজার থেকে রামদিয়া বাজার হয়ে বহরপুর বাজার দিয়ে জামালপুর সড়কটি ১৮ ফুট চওরা এবং দুই পাশে ৩ ফুট করে সোল্ডার সড়ক থাকবে। আশা করছি দ্রুতই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই সংস্কার কাজ আরম্ভ করবে। আর কাজ শেষ হলে জনদূর্ভোগ অবশ্যই লাঘব হবে।
স্থাণীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের রাজবাড়ী জেলা এল,জি,ই,ডি নির্বাহী প্রকৌশলী বিমল কুমার দাশ বলেন, বৃষ্টি হওয়াতে রাস্তার কাজ আরম্ভ করতে দেরি হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এই ২২ কিলোমিটার রাস্তার কাজ আরম্ভ করবো। আর আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।
jsEncrypt hello my website is jsEncrypt
timtom hello my website is timtom
Sale gb hello my website is Sale gb
wslot188 hello my website is wslot188
sv slot hello my website is sv slot
mpo 2121 hello my website is mpo 2121
camarqq hello my website is camarqq
zentoto hello my website is zentoto
tandan hello my website is tandan