মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে চোরের উপদ্রব্য বৃদ্ধি পেয়েছে। দিনে-রাতে বিভিন্ন বসতবাড়িতে ঘটছে চুরির ঘটনা। এ চুরি ঠেকাতে পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডবাসী নিজেরাই রাতজেগে পাহাড়ার ব্যবস্থা করেছেন। গত দুইদিন ধরে তারা চোরের উৎপাত সহ্য করতে না পেরে লাঠি সোঠা হাতে নিয়ে গ্রামের প্রত্যেক বাড়ি-বাড়ি ঘুরে মানুষকে নিরাপদে রাখতে পাহাড়া দিচ্ছেন।
ভুক্তভোগী ও এলাকা সুত্রে জানাগেছে, সম্প্রতি পৌর এলাকার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ ইউনুস আলী হাওলাদারের কলেজের সামনের খালি বাসার তালা ভেঙ্গে দিন-দুপুরে স্বার্নালঙ্কার নিয়ে যায় চোরেরা। আলীনগর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনির বেপারীর বাড়ি থেকে দুইটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, একটি আংকটি, চেইন ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে যায় চোরেরা। একেই এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা হবিদ ভুইয়ার একটি গরু, কাশিমপুর গ্রামের লাল মিয়া বেপারীর একটি গরু, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি মীরজাহান আমিনের নিজ গ্রাম ৬নং ওয়ার্ডের কাষ্টগড় থেকে তিনটি ছাগল, লক্ষিপুর-পখিরা গ্রাম থেকে একটি ভ্যান চুরি, কানাইপুর গ্রামের কামরুল হোসেনের ঘরে সিদ কেটে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় চোরেরা। এভাবে একের পর এক পৌর এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে চুরির হিড়িক পড়েছে। এ চুরির ঘটনা নিয়ে থানা পুলিশের ভুমিকা নিয়ে জনমনে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী কাউন্সিলর মোঃ ইউনুস আলী ও ছত্তার বেপারীসহ বেশ কয়েকজন বলেন, আগে দেখতাম শুধু রাতের বেলায় চুরি হত। আর এখন দিনের বেলায়ও চুরি শুরু হয়েছে। আমাদের সব সময় চোরের আতঙ্কে থাকতে হয়।
৬নং ওয়ার্ডের ছত্তার, সোহেল ও রিয়াদ বলেন, রাত হলে আমাদের এলাকার গরু, ছাগল, হাস-মুরগীসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় চোরেরা। তাই আমরা এলাকার চুরি ঠেকাতে রাত জেগে চোর পাহাড়া দিচ্ছি। সবসময় আমাদের চোর আতঙ্কে থাকতে হয়।
এব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, রাত জেগে এলাকাবাসী চোর পাহাড়া বসিয়েছে বিষয়টি জেনেছি। এটা জনস্বার্থের কাজ। সচেতন মহল সোচ্ছার থাকলে আমাদের পুলিশের সুবিধা হয়। সবার সহযোগীতা থাকলে সুন্দর সমাজ গড়া সম্ভব