পাবনায় করোনাভাইরাসের টিকাদানে গতি আসার পর তা নিয়ে আগ্রহও বেড়ে চলছে এ জেলার সাধারণ মানুষের।
টিকা নিতে সরকারের তৈরি সুরক্ষা অ্যাপে প্রতিনিয়ত এ জেলার মানুষ নিবন্ধন করে যাচ্ছেন। তাছাড়া সাধারণ জনগণ এ জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ও হাট বাজারগুলোর কম্পিউটারের দোকানগুলোতে কোভিড- ১৯ (করোনা ভাইরাস) টিকার নিবন্ধনের জন্য ভিড় জমাচ্ছে।
আটঘরিয়া ও দেবোত্তর বাজার এলাকায় কম্পিউটারের দোকানে কোভিড- ১৯ (করোনা ভাইরাস) টিকার নিবন্ধন করতে চাঁদভা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. খবির হোসেন বলেন, সরকারের এই পদ্ধতিকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে সরকারে প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।
স্থানীয়রা আরা বলেন, আমরা খুব সহজেই বাড়িতে বসেই আবেদন করতে পারছি। এখন প্রিন্ট করার জন্য কম্পিউটারের দোকানে এসেছি। তবে অনেকে আবেদন করতে পারছে না সার্ভারের জটিলতার কারণে এবং আবার অনেক বুঝতে পারছে না। তাই তারা কম্পিউটারের দোকানে অপারেটরের মাধ্যমে কোভিড- ১৯ টিকার নিবন্ধন করছে।
আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা যায়, অনেকে টিকার ১ম ডোজ নিচ্ছে এবং অনেকে টিকার ২য় ডোজ নিচ্ছে। অনেকের আবার ২য় ডোজও সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু একটু উপচে ভিড় হলেও সবার মুখে স্বস্তি লক্ষ্য করা যায়। কেউ কেউ আবার নিবন্ধন না করেই টিকা নিতে চলে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে, অনেকেরই অজানা কিভাবে নিবন্ধন করতে হয়? তারা মনে করেছেন যে, ইউনিয়ন পরিষদের মতো আইডি কার্ড থাকলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা দেওয়া হয়।
টিকা সঙ্কটের কারণে মে মাসে নিবন্ধন প্রক্রিয়া স্থগিত করা হলেও ৮ জুলাই থেকে নিবন্ধন পুরোদমে চলছে। এরমধ্যে টিকা গ্রহণের বয়সসীমা ৪০ বছর থেকে কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়েছে। ২৫ বৎসরের ছেলে মেয়ে সহ বৃদ্ধরা টিকা নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে।