ঢাকা, শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ০১:০০ পূর্বাহ্ন
শহীদে বালাকোট সম্মেলন: আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামী চিন্তা-চেতনা ও মূল্যবোধের বাংলাদেশ
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

আযাদী আন্দোলনের অকুতোভয় সিপাহসালার, ঈমানী চেতনার প্রাণপুরুষ, আমীরুল মু’মিনীন, ইমামুত তরীকত, শহীদে বালাকোট হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.)-এর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর স্মরণে মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানী ঢাকার বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন- ‘দুনিয়ার দিকে দিকে, বিশেষ করে এ উপমহাদেশে ইসলামের প্রচার-প্রসারে আউলিয়া কিরামের অবদান সবচেয়ে বেশি। যে সকল ওলীআল্লাহ এতদঞ্চলে দ্বীনের খিদমতে নিজেদের জীবন কুরবান করে গিয়েছেন তাঁদের অন্যতম হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.)। তিনি উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রনায়ক, নির্ভীক সিপাহসালার ও যামানার মুজাদ্দিদ। তাঁর আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল- ঈমান, ইসলাম ও ইহসান সমন্বিত পূর্ণাঙ্গ দ্বীনের সর্বাত্মক প্রতিষ্ঠা। শিরক-বিদ’আত ও কুসংস্কার উচ্ছেদ, সর্বক্ষেত্রে সুন্নাতে নববী কায়িম, বিদেশী আগ্রাসী শক্তি ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের করালগ্রাস থেকে দেশ ও দেশের মযলুম জনতার মুক্তি, শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করে খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ (নববী আদর্শে খিলাফত) প্রতিষ্ঠাই ছিল তাঁর জীবন-সাধনা। এ লক্ষ্যসমূহ অর্জনের উদ্দেশ্যে তিনি ‘তরীকায়ে মুহাম্মদিয়া’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জীবনব্যাপী আন্দোলন-সংগ্রামের পরিচালনা করে ১৮৩১ সালের ৬ মে তিনি বালাকোটে, জিহাদের ময়দানে শাহাদত বরণ করেন। হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (র.) এর চিন্তাধারা থেকে তিনি যে মিশন শুরু করেছিলেন তা নানা আঙ্গিকে আজো অব্যাহত আছে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত তরীকায়ে মুহাম্মদিয়ার দীপশিখা জ্বলজ্বল করে আলো ছড়াচ্ছে এখনও। তাঁর চেতনাসহ আউলিয়ায়ে কিরামের চেতনাকে ধারণ করে ইসলামকে বিজয়ী শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.) এর সিলসিলার অনুসারীগণসহ দল-মত নির্বিশেষে সকল মুসলিম জনতার ঐক্যের বিকল্প নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে এদেশে ইসলাম যেমন সগৌরবে প্রতিষ্ঠিত হবে তেমনি বাতিল শক্তি পেছনের দুয়ার দিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে।

বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে এদেশের মানুষ যুলুম-নির্যাতন থেকে মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিল। এমনিভাবে আশা করেছিল যে, এদেশ ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই পাবে। কিন্তু আজও সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি বরং এর বিপরিত বাস্তবতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মতের সামান্য ভিন্নতার কারণে ইমামকে হত্যা করা হয়েছে, নারীস্বাধীনতার নামে এদেশে বেহায়াপনাকে প্রতিষ্ঠিত করার পায়তারা চলছে। নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সরাসরি কুরআন সুন্নাহের সাথে সাংঘর্ষিক বহু প্রস্তবনা দেওয়া হয়েছে। এটি ইসলাম ও মুসলমানের সাথে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। অবিলম্বে এ বিতর্কিত কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল করতে হবে। নতুবা এর ফল শুভ হবে না। বক্তারা বিতর্কিত ওয়াকফ বিল স্থগিত না রেখে পরিপূর্ণরূপে এটি বাতিল করার জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহবান জানান এবং অন্তরবর্তী সরকারকে জাতিসংঘের মাধ্যমে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহবান জানান। গাযার মুসলমানদের উপর ইসরাইলী নির্যাতনে ক্ষোভ প্রকাশ করে এ নির্যাতন বন্ধের আহবান জানান এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বালাকোট-চেতনা উজ্জীবন পরিষদের আয়োজনে পরিষদের আহবায়ক মাওলানা কবি রূহুল আমীন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলীর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন হযরত আল্লামা মুফতী গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী, ছারছীনার পীর ছাহেব হযরত মাওলানা শাহ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. শমশের আলী, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক আলহাজ্ব এএমএম বাহাউদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম ছিদ্দিকুর রহমান নিজামী, সোনাকান্দার পীর ছাহেব হযরত মাওলানা মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী, চুনতীর মরহুম পীর ছাহেবের ছাহেবজাদা মাওলানা আব্দুল মালেক মুহাম্মদ ইবনে দীনার নাজাত, কদমচালের পীর ছাহেব মাওলানা মো. আবুল কাশেম, দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আ.খ.ম. আবু বকর সিদ্দীক, কুমিল্লার দারুল আমানের পীর ছাহেব মাওলানা শাহ মাহমুদ সিদ্দিকী আল কুরেশি, হবিগঞ্জের নূর মোহাম্মদপুরের পীর ছাহেব মাওলানা শাহ আবু তাহের মো: সালেহ উদ্দিন, ফেনীর সিরাজিয়া দরবারের পীর ছাহেব মাওলানা মোহাম্মদ মহিব্বুল ইসলাম চৌধুরী, গাজীপুর শামসাবাদের পীর ছাহেব মাওলানা মুফতি মাহবুবুর রহমান, হবিগঞ্জের এখতিয়ারপুরের পীর ছাহেব মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান, কুমিল্লার শিদলাইয়ের পীর ছাহেব মাওলানা রুহুল আমীন।

বালাকোট-চেতনা উজ্জীবন পরিষদের সদস্য, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা নজমুল হুদা খান ও মাওলানা নোমান আহমদের যৌথ পরিচালনায় সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ’র সভাপতি ড. মাওলানা এ.কে.এম মাহবুবুর রহমান, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী, মাহমুদা খাতুন মহিলা কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতি মাওলানা বদিউল আলম সরকার, হলিয়ারপাড়ার সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, মোহাম্মদপুর গাউসিয়া ফাযিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ইজহারুল হক, হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু ছালেহ মো: কুতবুল আলম, জমিয়তে যুব হিযবুল্লাহ এর সভাপতি মাওলানা মফিজ উদ্দিন জিহাদী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক মাওলানা আব্দুল্লাহ যোবায়ের, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, লতিফিয়া কারী সোসাইটি কুমিল্লার সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন ফকির, প্রমুখ।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দ্বীনীয়া মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড ছারছীনার চেয়ারম্যান ড. মাওলানা সাইয়্যেদ শরাফত আলী, কুমিল্লার বানিয়াপাড়ার পীর ছাহেব মাওলানা মো. আবু বকর ছিদ্দীক আল কাশেমী, সুন্দাদিলের পীর ছাহেব মাওলানা কাজী আলাউদ্দিন আহমদ, আল ইসলাম জহুরিয়া হাজী আইন উদ্দিন দরবারের পীর ছাহেব আলহাজ্জ মো: আজহারুল ইসলাম, রাখালগঞ্জ ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা শেহাব উদ্দিন, গোপালদি ফাযিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা এ বি এম আব্দুস সালাম, মোহাম্মদপুর গাউসিয়া ফাযিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আ ন ম মাহবুবুর রহমান, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী, মাসিক পরওয়ানার সম্পাদক মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মুফতি আবু নছর জিহাদী, দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার প্রধান ফকীহ মাওলানা উসমান গণি সালেহী, সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মাকসুদুল হক, বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার মুফাসসির মাওলানা মোহাম্মদ আলী, দুর্বাটি কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মুর্শেদ আলম ছালেহী, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা মুফতি মনজুর হোসাইন খন্দকার প্রমুখ।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বঙ্গভবন জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব মাওলানা সাইফুল কবীর, পিএইচপি কুরআনের আলো এর মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন, ইমাম আযম আবু হানিফা ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাওলানা মুফতি শাহ আলম, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মনজুরুল করিম মহসিন, সাধারণ সম্পাদক এস এম মনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগরীর সভাপতি ইমাদ উদ্দিন তালুকদার, সিলেট মহানগরীর সভাপতি হুসাইন আহমদ, সিলেট পূর্ব জেলা সভাপতি জিল্লুর রহমান, সিলেট পশ্চিম জেলা সভাপতি শেখ রেদওয়ান হোসেন, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি আবু হেনা ইয়াসিন, মৌলভীবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক নাসির খান প্রমুখ।

সম্মেলনে পাঁচ দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন বালাকোট-চেতনা উজ্জীবন পরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী। প্রস্তাবনাসমূহ হলো- ১) হযরত সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.)-এর উত্তরসূরি হিসেবে আমরা গর্বিত। এটি আমরা আগেও ঘোষণা করেছি, এখনও ঘোষনা করছি। সায়্যিদ আহমদ শহীদ বেরলভী (র.) ছিলেন রুহবানুল লাইল ওয়া ফুরসানুন নাহার- রাতে ইবাদতগুজার ও দিনে ঘোড়সওয়ার-মুজাহিদ। তাঁর সিলসিলা হক। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা ও আদর্শ প্রচার এবং দ্বীনকে বিজয়ী শক্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ সিলসিলার অনুসারী আলিম-উলামা, পীর-মাশায়েখ সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। ২) জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে অন্তর্র্বতী সরকারের অধীনে নারী সংস্কার কমিশন গঠিত হয়েছে। সম্প্রতি এ কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। আমরা অত্যন্ত দু:খের সাথে লক্ষ্য করেছি যে, নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে এমন অনেক প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে যা সরাসরি কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক। এ ধরনের প্রস্তাবনা ইসলামের সাথে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। অবিলম্বে বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন ও এর প্রতিবেদন বাতিল করতে হবে। যদি এগুলো বাতিল করা না হয় তাহলে দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। ৩) নারী-শিশু-বৃদ্ধ নির্বিশেষে গাযার মুসলিম জনতার উপর ইসরাইলের বর্বর হামলা ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ আমরা জানাচ্ছি এবং ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে বিশ্বের সকল মুসলিম রাষ্ট্রকে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমরা বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি। ৪) ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ বিল বাতিলের জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি এবং এ দাবি বাস্তবায়নে জাতিসংঘের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্র্বতী সরকারের প্রতি আমরা উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম নির্যাতন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও আমরা সরকারের পতি আহবান জানাচ্ছি। ৫) আমরা মিয়ানমার কর্তৃক অকথ্য নির্যাতনের শিকার হয়ে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সম্মানজনক, স্বেচ্ছামূলক ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পক্ষে, যা আন্তর্জাতিক তত্তাবধানে টেকসইভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে এ সংক্রান্ত্র যেকোনো উদ্যোগ, যেমন মানবিক করিডর স্থাপন, অবশ্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শন সাপেক্ষে এবং রাজনৈতিক দলসহ সকল অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতেই হতে হবে।

x