ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন
কাবুল বিমানবন্দরে হামলাকারীদের খুঁজে বের করবোই: বাইডেন
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণের পরও আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ওই হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনাসহ ৬০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। খবর বিবিসির।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের অবশ্যই এই মিশন শেষ করতে হবে এবং আমরা এটা শেষ করবো। এসময় তিনি হামলাকারীদের খুঁজে বের করে জবাব দেয়ারও অঙ্গীকার করেন। এরই মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ১ লাখের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। গত ১৪ আগস্ট থেকে এই উদ্ধার শুরু হয়।

কিন্তু এখনও হাজার হাজার মানুষ কাবুল বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছে। তার যেভাবেই হোক আফগানিস্তান ছাড়তে চায়। কারণ আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে মার্কিন বাহিনীকে আফগানিস্তান ছাড়তে হবে। এমতাবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা মিশন শেষ করবোই। আমরা ‘সন্ত্রাসীদের কারণে সরে আসবো না।’

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমরা ক্ষমা করবো না। আমরা তাদের খুঁজে বের করবো এবং তাদের চড়া মূল্য দিতে হবে। নিহত মার্কিন সেনাদের মধ্যে ১১ জন মেরিন এবং নৌবাহিনীর একজন মেডিকও রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পর এই প্রথম আফগানিস্তানে কোনও মার্কিন সেনার মৃত্যু ঘটলো।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যে সেনারা মারা গেছেন ‘তারা নায়ক ছিলেন, যারা অন্যদের জীবন বাঁচাতে নিঃস্বার্থ মিশনে ছিলেন।’ এদিকে আরও হামলার আশঙ্কা করছে ‍যুক্তরাষ্ট্র। জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি বলেন, আরও হামলা চালাতে পারে আইসিস-কে। তিনি বলেন, তালেবানদের সঙ্গে মিলে আরও হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তালেবানরা ইতোমধ্যেই অনেক হামলা ঠেকিয়েছে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা প্রায় ৬টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। প্রথম হামলা ঘটে অ্যাবে গেটে। সেখানে মানুষজনের কাগজপত্র বাছাই করে বিমানবন্দরে ঢোকানোর দায়িত্বে রয়েছে মার্কিন এবং ব্রিটিশ বাহিনী। প্রথমে বিস্ফোরণের পর বন্দুক দিয়েও হামলার ঘটনা ঘটে এখানে।

এর কয়েক মিনিট একটি হোটেলে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে। এই হোটেলটি ব্রিটিশ কর্মকর্তারা ব্যবহার করছে। যেসব আফগান যুক্তরাজ্যে যেতে চাইছে তাদের কাগজপত্র এখানে প্রক্রিয়া করছে ব্রিটিশ সেনারা। অবশ্য আগে থেকেই সম্ভাব্য হামলার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়া।

কিন্তু এরপরও আফগানিস্তান ছাড়ার আসার হাজার হাজার মানুষ কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে জড়ো হয়। এরপরই এমন হামলা চালায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আঞ্চলিক শাখা আইসিস-কে। বৃহস্পতিবার আরও পরের দিকে ওই হামলার কথা স্বীকার করে বিবৃতি দেয় গ্রুপটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x