ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৮ অপরাহ্ন
ডুবে গেছে শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাটের সংযোগ সড়ক, পারাপারে ভোগান্তি
মোঃ রুহুল আমিন //শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি:
জোয়ারের পানিতে সংযোগ সড়ক ডুবে যাওয়ায় শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাটের টার্মিনাল দিয়ে যানবাহন উঠা-নামা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচলও। জোয়ায় চলাকালীন প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা যানবাহন উঠা-নামা বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ওই রুটে যাতায়াতকারী চালক ও সাধারণ যাত্রীদের। পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে আটকা পড়ছে শত শত যানবাহন।
জানা গেছে, শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার শত শত যানবাহন পারাপার হয়। এর মধ্যে মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহনের সংখ্যাই বেশি। কিন্তু বর্ষার কারণে গত কয়েকদিন থেকে নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় টার্মিনালের সংযোগ সড়ক ডুবে যাচ্ছে। ফলে প্রতিদিন সকাল ও বিকালে প্রায় ৮ ঘণ্টা ফেরিতে গাড়ি ওঠা-নামা বন্ধ থাকছে।শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাটে দায়িত্বরত বিআইডব্লিউটিসি ম্যানেজার আব্দুল মুমিনের সাথে কথা হয় তিনি বলেন , হঠাৎ করে পানি প্রবাহিত হওয়ায়  টার্মিনালের সংযোগ সড়ক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায়  এখানে প্রতিদিন সকালে ও বিকালে যানবাহন পারপারের সমস্যা  থাকছে। শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। ঘাটের দায়িত্ব মূলত বিআইডব্লিউটিএ’র। বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসিএ’র সমন্বয়ে রাস্তাটি উঁচু করার কাজ শুরু করা হবে।  শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, টার্মিনালের সংযোগ সড়কটির উপর  কোমর সমান পানি জমে আছে। নৌকা করে লোকজন টার্মিনালে উঠছে।
কিন্তু জোয়ার শেষে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত যাত্রীবাহী ও মালামালবাহী যানবাহন।এ সময় পারাপারের অপেক্ষায় থাকা ভুক্তভোগী যাত্রী ও চালকরা ( মোঃ মোকসেদ আলী ও রফিকুল ইসলাম  ) বলেন, রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গাড়ি ফেরিতে তোলা যাচ্ছে না। ফলে দীর্ঘক্ষণ ধরে আমরা অপেক্ষায় আছি। দায়িত্বরতরা বলছে জোয়ার শেষে পারাপার শুরু হবে। সারা দিন গাড়িতে থেকে এখানে প্রায় ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। অনেকের গারি এখানে পানিতে আটকে গেছে। আমাদের ছোক প্রাইভেটকার পানিতে ডুবে যাবে।  তক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে জাননা  ।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চাঁদপুর জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী  আমজাদ হোসেন বলেন, উজান থেকে পানি আসার ফলে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় টার্মিনালের সংযোগ সড়ক ডুবে যাচ্ছিল। আমরা অতিদ্রুত ইট-বালি  ফেলে এ সমস্যাটি সমাধান করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x