টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলা ডুবাইল ইউনিয়নে রত্না(৫০) বেগম নামের এক বৃদ্ধা প্রতিবন্ধী নারীকে কে বা কারা ৪/৫ দিন পূর্বে শ্বাসরুদ্ধকরে হত্যা করে বৃদ্ধার নিজ ঘরেই ফেলে রাখে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় বৃদ্ধার ছেলে রতন মিয়া মাকে বার বার ফোন দেয়,রত্না বেগম ফোন রিসিভ না করলে পাশ্ববর্তী বাড়ির অন্য কাউকে ফোন দিয়ে বাড়ীতে যেতে বলে,রতনের ফোন পেয়ে কেউ একজন বাড়ীতে গিয়ে ঘরের বাহিরে ছিকল দেওয়া দেখতে পায়। এটা দেখে সে ঘরের বেড়াঁর ফাঁকা দিয়ে উকি দেয়এবং সঙ্গে সঙ্গে মেঝেতে রত্না বেগমের লাশ দেখতে পায়,লাশ দেখে তিনি চিৎকার দিলে আশে পাশে থাকা লোকজন এসে বিষয়টি দেখে সাথে সাথে দেলদুয়ার থানায় ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে দেয় এবং ঘটনাটি জানতে পেরে দেলদুয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) মো: সাজ্জাত হোসেন ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং লাশ ময়নাতদন্ত এর জন্য টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকা বাসিরা জানায় যে রত্না বেগম বয়স্ক এক প্রতিবন্ধী নারী ছিলেন তাকে এভাবে মেরে ফেলবে আমরা ধারণা করতে পারি নাই।
তবে অধিকাংশ লোকের ধারণা এলাকায় জুয়া ও হিরোইন আসক্তদের সংখ্যা বেড়েঁ গেছে। বৃদ্ধা বাড়ীতে একাই থাকতেন মাঝে মাঝ জুয়া খেলার জন্য জুয়ারি রা তার বাড়ীতে যেতেন। রত্না বেগম তাদের কে মানা / প্রতিবাদ করলে তাঁকে হত্যার করার হুমকি প্রদান করতো। রত্না বেগমের ছেলে রতন সহ নিকট আত্নীয় ও স্থানীয় জনসাধারণ, ওয়ার্ড মেম্বরগন এই ধারণা করছেন যে নেশাগ্রস্ত ও জুয়ারিরা এই কাজ করতে পারে। তাছাড়া বৃদ্ধা মহিলার কোন শত্রু ছিলোনা যে তাকে এভাবে মেরে ফেলবে,ঘটনা তদন্ত করে সুষ্ঠ বিচারের দাবি করছে এলাকাবাসী ও তার আত্নীয়- স্বজনরা।