বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচিলা গ্রামের আক্কাস খানের বাড়ী সলগ্ন তিন রাস্তার মোড় থেকে শুরু হয়ে হাসানিয়া ইবতেদায়ী হয়ে হানিফ ডাক্তার বাড়ি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটির এখন বেহাল অবস্থা। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি পানিতে ডুবে যায়।
সরজমিনে দেখা যায়, পূর্বচিলা গ্রামের মতলেব চৌকিদারের বাড়ির পশ্চিম পাশের তিন রাস্তার মোড় থেকে শুরু হয়ে পূর্বচিলা হাসানিয়া ইবতেদায়ী মাদ্রাসা হয়ে হানিফ ডাক্তার বাড়ি পর্যন্ত তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এ রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় এখন রাস্তার অনেক স্থানে ফসলি জমির সঙ্গে মিশে গেছে।
আবার কোথাও হয়েছে বড় বড় গর্ত। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এ গ্রামের দেড় শতাধিক পরিবারের মানুষ। পূর্বচিলা গ্রামের সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী ও মো. ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, এই রাস্তটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন মানুষদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
মানুষের চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়। নির্বাচন আসে নির্বাচন যায় চেয়ারম্যান মেম্বার নির্বাচিত হন। রাস্তাটির প্রতি কারো কোনো সুনজর নেই। বিশেষ করে বৃদ্ধ, শিশু, প্রসূতি মাকে হাসপাতালে নিতে হলে দুর্ভোগের শেষ থাকে না। হাসানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বর্ষাকালে ঠিকমতো পাঠদান করতে মাদ্রাসায় যেতে পারে না। হাসানিয়া ইবেতদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘রাস্তায় জমে থাকা পানি মাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের যেতে হচ্ছে। কখনো জমে থাকা পানির নিচে খানাখন্দে পড়ে গিয়ে জামা-কাপড় ভিজিয়ে শিক্ষার্থীকে বাড়ি ও মাদ্রাসায় যেতে হচ্ছে। অনেক সময় বই-খাতাও ভিজে নষ্ট হয়ে যায়।’
সরজমিনে দেখা গেছে, এ সড়কে বড় বড় নালা রয়েছে। মানুষ গামছা পড়ে কোমড় সমান পানি ও কাদামাটির পেরিয়ে চলাচল করছে। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন মানুষ শহরে, বাজারে ও হাসপাতালে যাতায়াত করে।
হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, জরুরীভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কার ও পাকা করনের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বরগুনা জেলার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য যে নতুন ডিপিপি তৈরি হইতেছে ঐ ডিপিপিতে এ রাস্তাটি অন্তর্ভুক্ত হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, সরজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম সরোয়ার ফোরকান মুঠোফোনে জানান, সরজমিন পরিদর্শন করে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।