এম আবু হেনা সাগর: কাল্পনিক নয়,বাস্তবেই ট্রেন আসবে এই শহরে। দীর্ঘবছর পূর্বেই দাদা-দাদী,নানা-নানী বা প্রবীন মুরব্বীর মুখে শুনেছিলেন কক্সবাজারে একদিন না একদিন আসবেই ট্রেন। সেই দিন বেশি দূরের নয়। আসার অপেক্ষায় সেই স্বপ্নের ট্রেন।
চট্রগ্রাম থেকে ঢাকা বা তারই আশপাশে ছিল ট্রেনের অবাধ চলাচল। কিন্তু দীর্ঘকাল পর দোহা জারী হয়ে কক্সবাজার ঘুনধুম পর্যন্ত বহুল প্রত্যা শিত স্বপ্নের ট্রেন আসার পথে। সত্যিই উচ্ছাসিত, আনন্দিত বৃহত্তর এলাকার মানুষরা। যান চলা চলের সড়কের পাশে আরো এক টেকসই সড়ক করে। যেটির মাধ্যমে ট্রেন আসবে এ শহরে। রুপ কথার কল্প কাহিনী নয় “গ্রাম হবে শহর” সেটি খুব কাছেই।
পর্যটননগরী কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধা, বনজ ও কৃষি পণ্যসামগ্রী পরিবহনের সুবিধার্থে রেললাইন স্থাপনের চেষ্টা ছিল দীর্ঘদিনের। সেটি অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে দোহাজারী কক্সবাজার- ঘুনধুম রেলওয়ে যোগাযোগ প্রকল্প। পর্যটন শহর কক্সবাজার রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে অচিরেই। এতে সৈকত নগরীর পর্যটনশিল্পের যেমন বিকাশ ঘটবে,তেমনি বিস্তৃত হবে ব্যবসা-বাণিজ্যও। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার- ঘুনধুম রেললাইন স্থাপিত হলে যোগাযোগসহ দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দ্বার উম্মো চিত হবে। আশার আলো খুঁজে পাবেই সর্বশ্রেনী পেশার মানুষ।
কক্সবাজারবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। বর্তমানে প্রতীক্ষিত এই রেললাইন নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাওয়ায় আশায় বুক বাঁধ ছেন তারা। রেললাইনটি স্থাপনের মধ্য দিয়ে পাল্টে যাবে এখানকার অর্থনৈতিক চিত্র। আমূল পরিবর্তন ঘটবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলাবাসীর লালিত স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছেই প্রতীক্ষিত রেল লাইন স্থাপনের মধ্য দিয়ে। উন্নয়নে মহাসড়কে কর্মযজ্ঞে এগুচ্ছেন রেল লাইন প্রকল্পের কাজ। অতপর ট্রেন আসবে এ শহরে………….।