ঢাকা, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
দুমকিতে সিগারেট ধরাতে ম্যাচলাইট না দেয়ায় দু’পক্ষের হামলা-আহত-২০
পটুয়াখালী প্রতি নিধি মোঃ কামরুল ইসলাম সুমন

দুমকিতে সিগারেট ধরাতে ম্যাচলাইট না দেয়ায় দোকানীকে মারধর- আহত-২০

লেবুখালী ফেরীঘাটে তুচ্ছ ঘটনায় একদোকানীকে মারধরের জেরে দু’পক্ষের হামলা-মারধরের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত: ২০জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখমী ৭জনকে উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ হামলা সহিংসতার ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাজায়, শুক্রবার সকালে ঢাকা ফেরত পটুয়াখালী জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলকে লেবুখালী ফেরীঘাটে স্বাগত জানাতে জেলা শহর ও বাউফল থেকে বাদল, কোয়েল, মিঠু, সেলিমের নেতৃত্বে দু’শতাধিক কর্মী-সমর্থক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে ফেরীঘাটে অবস্থান নেয়। সমবেত কর্মী-সমর্থকরা বিচ্ছিন্ন ভাবে ঘাটে অবস্থান কালে বিভিন্ন দোকান-পাটে চা-সিগারেট পান ও জটলা করছিল। ওই সময় বাদল নামের এক যুবক সিগারেট ধরাতে ম্যাজলাইট নিয়ে উত্যপ্তবাক্য বিনিময় ও মুদি-দোকানী সোহরাব প্যাদাকে মারধর করলে পাশর্^বর্তি দোকান্দার ও স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে দু’পক্ষে তীব্র উত্তেজনা, দফায় দফায় হামলা সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আহত দোকানী সোহরাব প্যাদার অভিযোগ, আ লীগের উচ্ছৃঙ্খল কর্মী-সমর্থকরা চাকু-চাপাতিসহ ধারাল অস্ত্র বের করে এলোপাথারি কুপিয়ে, পিটিয়ে ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যবসায়ি ও স্থানীয়দের জখম করেছে। এতে তিনি (মুদি দোকানী সোহরাব প্যাদা (৬৫), মোঃ সাবু (২৫), বজলু প্যাদা (৪৫), রাজিব (২২), বাহার খা (৩০), মোহন শরীফ (২০), আল-আমীন (৩০)সহ উভয় পক্ষের অন্তত: ২০জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর জখমী বজলু প্যাদাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ফার্মেসীতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও পুলিশ ছুটে এলে হামলাকারীরা দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশ হামলাকারীদের ৫টি মোটরসাইকেল জব্দ করলেও কাউকে আটক করতে পারেনি ।

দুমকি থানার এসআই সিদ্দিক জানান, লেবুখালী ফেরীঘাটে দু’পক্ষের হামলা-সংঘর্ষের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছেন এবং শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত ৪টি মোটসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

এবিষয়ে জানতে বাউফলের পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলে’র মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে বলেন, ফেরীঘাটের ব্যবসায়ি ও স্থানীয়দের সাথে আ’লীগের শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x