সাকিল হোসাইন, পাথরঘাটা, বরগুনা: বরগুনার পাথরঘাটায় ইয়াবা সহ দম্পতি আটকের জের ধরে দোকানে হামলা, ভাংচুর, প্রানা নাশের হুমকি। অভিযোগ করেছেন ভুক্তভাগী সোহেল রানা নামের এক ব্যাবসায়ী। এসময় তার বৃদ্ধ বাবা ইউনুচ খান (৬০) ও মা ফরিদা বেগমকে (৪৫) মারধর করার অভিযাগ করেন। এঘটানায় রবিবার (১১ জুলাই) সকালে শতাধীক লোকর স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযাগ পাথরঘাটা উপজলা প্রসক্লাব দেন ওই ভুক্তভাগীরা।
অভিযুক্ত ফোরকান, আজাদ ও রাসেল একই গ্রামের পনু হাওলাদারর ছেলে।
সরো জমিনে গিয়ে জানা গেছে , ফোরকান ও তার ভাইয়রা পশ্চিম চরলাঠিমারা এলাকাসহ আশেপাশের গ্রাম গুলোতে মাদক ব্যাবসা করেছেন। প্রতিদিন বিকেল হলেই পাথরঘাটাসহ বিভিন এলাকা থেকে অপরিচিত মানুষের আনাগানা শুরু হয়ে যায়। সেখানে কউ প্রতিবাদ করলে মারধরের স্বীকার বা গ্রাম ছারা হতে হয়, তাই ভয় কেউ কথা বল না। ফোরকানের বোন চট্টগ্রাম থাকার সুবাদে সেখান থেকে সহজেই মাদক নিয়ে আসছে পাথরঘাটায়। তাছারা ফোরকানের বোনের ছেলে রেজবী ইয়াবা নিয়ে আসার সময় প্রশাসনের কাছে আটক হয়ে কারা ভোগ করছেন।
স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে আব্দুল বারেক, হানিফা, আশ্রাব আলী ও আব্দুস ছালাম জানান, গত ৫ জুলাই সোমবার রাতে মোসলেম আলী ও তার স্ত্রী রেকসানা বেগমকে ৯০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলটসহ কোস্টগার্ড আটক করে। এর কিছুক্ষন পরেই রেকসানার ভাই ফোরকান এসে সোহেল রানাকে অকথ্য ভাষায় গালমদ করতে শুরু করে। এর প্রতিবাদ করার সাথে সাথেই সোহেল রানার উপর ও তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। পরের দিন সকাল ৯টার সময় ফোরকানের ছোট ভাই আজাদ ও রাসেল এসে আরেক দফায়ে দোকানে ভাংচুর ও মালামাল লটু করে নিয়ে যায়। এসময় সোহেল রানার বদ্ধ বাবা ও মা প্রতিবাদ করলে লোহার রড দিয়ে পিটায়।
অভিযুক্ত ফোরকার, আজাদ ও রাসেলের বাবা পনু হাওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুঠাফানে জানান, আমার ছেলে একটা সিগারেট চেয়েছে তা দিতে দেরি করায় বাগবিতন্ডা হয়েছে। এসময় সোহল ও তার মামাত ভাই সুলায়মান আমার ছেলেদের মারধর করেছেন। তার মেয়ে রেকসানা ও জামাই মোসলেম আলী মাদকসহ আটকের বিষয় জানতে চাইলে বলেন, আটক হয়ছে তবে কেনো হয়েছে সে বিষয় বিছুই জানন না।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মো. ফারুক হোসেন জানান, পনু হাওলাদারের ছেলেরা সোহেল ও তার মা বাবাকে মারধর করেছে তা আমি ঘটনা স্থানে গিয় সত্যতা পেয়েছি। আমার সামনেই সোহল ও তার পরিবারকে বিভিন রকমের হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয় পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার জানান, ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ গিয়ে তদন্ত করেছে। ফোরকানের বাড়ির কাছে সোহল ব্যবসা করার সুবাদে সেই দোকানে গিয়ে সিগারেট চায়, সোহেলের হাতে কাজ থাকার কারনে দিতে দেরি হওয়ায় তাদের মধ্যে তর্ক হয়। তবে যে রকম ঘটনা ঘটছে তাতে মামলার মতো কিছুই হয়নি, জিডি করা যায় মাত্র।