‘সারাদেশে যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়েই চলছে। ঠিক তেমন সময় পবিত্র ঈদুল -আযহা কে সামনে রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার হাট বাজারে নজরদারি রেখেছে, যাতে করে হাটে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতা-বিক্রেতারা গরু ছাগল কেনা বেচা করতে পারেন। কিন্তু এখানে উল্টো দিক।
নিয়মতান্ত্রিকভাবে সপ্তাহে প্রতি শুক্রবার বসছে এই পশুর হাট। হাটে , শরীয়তপুর জেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা এবং বিক্রেতা আসে এখানে গরু ছাগল কেনার জন্য এটি একটি অন্যতম পশুর হাট।
গোসাইরহাট বাজার পশুর হাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দাসের জঙ্গল পৌরসভার বাজার বিশাল এক পশুর হাট। এ হাটে ক্রেতা-বিক্রেতারা কোন প্রকার মানছেনা স্বাস্থ্য বিধি । নাই হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ও হাত ধোয়ার কোন ব্যবস্থা। হাট কর্তৃপক্ষ সামাজিক দুরত্ব নিচ্ছিত না করেই বসানো হয়েছে এ হাটটি। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব না থাকায় ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)তানভীর আল-নাসীফ, এক্সিকিউটিভ মেজিস্টিস, সেনাবাহিনী, আনসার ভিডিপি,গোসাইরহাট থানা পুলিশ এর সদস্যদের সহায়তা নিয়ে
(০৯ জুলাই) বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে গোসাইরহাট দাসের জঙ্গল পশুর হাট পরিদর্শনে আসেন।
প্রথমে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালন না করায় ১২টা ৩০ মিনিট এর দিকে গোসাইরহাট দাসের জঙ্গল পশুর হাটটি বন্ধ করে দেন ইউএনও তানভীর আল নাসীফ।
এসময় ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)তানভীর আল-নাসীফ,বলেন শরীয়তপুর এক্সিকিউটিভ মেজিস্টিস, সেনাবাহিনী, এবং অফিসার ইনচার্জ গোসাইরহাট ও পুলিশ আনসার ভিডিপির সহযোগিতায় আজকে গো- হাট পরিদর্শনে আসি।প্রথমে আমরা সামাজিত দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করেছি, এবং সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে মাক্স পরিধান করে চলার আহ্বান জানিয়েছি। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য , বাজার ইজারাদার কে বলা হয়েছে,
তারা কোন প্রকার স্বাস্থ্য বিধি এবং মাক্স পরিধান না করায় আমরা গো-হাটটি বন্ধ করে দিয়েছি। কারন সবার উপরে আমরা স্বাস্থ্য বিধি কে প্রাথন্যদিবো। এবং প্রান্ততিক খামারীদের কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্য বিধি মেনে আগামীতে গো-হাট টি বসানোর জন্য বলা হয়েছে। যদি সামাজিক দুরত্ব নিচ্ছিত না করে গো-হাট টি বসায়। তাহলে আমরা সেটাকেও বন্ধ করে দিবো।