শরীয়তপুর-চাদপুর নসিংহপুর আলুর বাজার লঞ্চঘাটে উঠতে হুমকির মুখে জনসাধারণ এমন অভিযোগ উঠেছে। লঞ্চঘাটের জেটি ও এক্সপার্ট ভাঙার কারনে পারাপারে ভোগান্তিতে রয়েছে জনসাধারণ।
স্থানীয়রা জানান, লঞ্চ ঘাটের একটি লঞ্চের ধাক্কায় টার্মিনালে উঠার জেটি ভেঙে পড়ে এবং এক্সপার্ট ছিড়ে যায়। যার ফলে লঞ্চ বাঁধতেও রয়েছে লঞ্চ মাষ্টার হুমকির মুখে।
এবিষয়ে মিতালী ০৫ লঞ্চ মাষ্টার জানান, একদিকে লঞ্চে উঠা নামার একমাত্র জেটি টি ভেঙে পড়ে ফলে লঞ্চ যাত্রীদের উঠানামা করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে।
যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এবং আমাদের এখানে লঞ্চ রাখার কোন জায়গা নেই একটি টার্মিনাল রয়েছে তারও এক্সপার্টি ছিড়ে গেছে। তাই উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি যদি আরেকটি লঞ্চ টার্মিনাল এখানে দেওয়া হয়। তাহলে আমাদের১০ থেকে ১৫ টি লঞ্চ এখানে রাখতে পারবো। এবং জেটি ও এক্সপার্ট টির দ্রুত মেরামতের দাবি জানাচ্ছি।
সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, শরীয়তপুর নসিংহপুর আলুর বাজার লঞ্চঘাটের ইজারাদার কর্তৃপক্ষ মনির হোসেন বেপারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আমাদের এখানে লঞ্চে ওঠা-নামার জন্য একটি জেটি রয়েছে । লঞ্চের ধাক্কায় লঞ্চ যাত্রী ওঠা নামার জেটি টি ভেঙে পড়েন। এখন লঞ্চে উঠতে যাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে। অপরদিকে লঞ্চ টার্মিনাল এক্সপার্টি লঞ্চের ধাক্কায় ছিড়ে যায়। দ্রুত এগুলো মেরামতের অনুরোধ জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি( বিআই ডব্লিউটিএ) আলুর বাজার লঞ্চঘাট টি,পি ৮৭ ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলামকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করি। দ্রুত সংস্কার না হলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
শরীয়তপুর নরসিংহপুর ঘাট ইজারাদার ও চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিতু মিয়া বেপারী বলেন, শুনেছি সব ভেঙে গেছে এখন তাদের অনুমোদন আসবে তার পর কাজ করবে। এখন মানুষ তো লঞ্চে উঠা নামা করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। যেই অবস্থা হয়েছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে।