নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৯ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এসে পৌঁছেছে। তাদের নমুনা সংগ্রহের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের টিম কাজ শুরু করেছে।

শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকালে সিআইডি নমুনা সংগ্রহের জন্য মরদেহের দাবিদার আত্মীয়-স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করছে।

সিআইডি ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের সহকারী ডিএনএ এনালিস্ট আশরাফুল আলম বলেন, ‘আমাদের পাঁচ সদস্যের টিম নমুনা সংগ্রহের কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আগুনে পুড়ে যাওয়ায় মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। ডিএনএ টেস্ট ছাড়া শনাক্তের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য প্রথমে ঢামেক মর্গ থেকে মৃতদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে এবং স্বজনদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাদের সঙ্গে ডিএনএ ম্যাচ করবে তাদের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’

ফরেনসিক বিভাগের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘মরদেহ শনাক্তের জন্য স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মায়ের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহের কার্যক্রম চলবে আগামী দুই থেকে তিনদিন। এছাড়াও এখানে যারা নমুনা দিতে পারবে না, তারা মালিবাগের সিআইডি সদর দফতরে গিয়েও নমুনা দিতে পারবেন।’

এর আগে দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা বলেন, এখন পর্যন্ত ধ্বংসস্তুপ থেকে ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে। আমাদের প্রথম কাজটি হবে মরদেহগুলোর যথাযথ প্রক্রিয়ায় ডিএনএ টেস্ট করে শনাক্ত করা।

তিনি বলেন, সবগুলো মরদেহ আগুনে পুড়ে ঝলসে গেছে। প্রয়োজনে তাদের মরদেহ ফ্রিজিং করা হবে। আত্মীদের সঙ্গে ডিএনএ স্যাম্পল মিলিয়ে পরবর্তীতে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।