মাদারীপুরের কালকিনি থানার ষষ্ঠ শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী ও ডাসার থানার নবম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। এই দুইটি ধর্ষনের ঘটনায় কালকিনি ও ডাসার থানায় আলাদা দুটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেছে ভূক্তভোগী পরিবাররা। পরে ধর্ষক ফুফা নুরুল আফসার সাদ্দাম-(৫৫) কে কালকিনি থানা ও চাচা দিপক তালুকদার-(৩৮) কে ডাসার থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। ধর্ষক নুরুল আফসার সাদ্দাম চট্রগ্রাম জেলার বাশখালি থানার গুনাগাড়ি গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে এবং ধর্ষক দিপক তালুকদার ডাসার থানা এলাকার নবগ্রাম ইউনিয়নের নবগ্রাম গ্রামের উত্তর পারার দিলীপ তালুকদারের ছেলে। আজ বুধবার সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ ও ভূক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে, গত ৩০ জুন (বুধবার) ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে কালকিনি উপজেলার বাঘা কান্দি গ্রামের ধর্ষিতার পরিবারের সবার চোঁখ ফাকি দিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর রুমে প্রবেশ করে ধর্ষক নুরুল আফসার সাদ্দাম। এসময় ঘুমন্ত অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে ফুফা নুরুল আফসার সাদ্দাম। পরে স্কুলছাত্রী চিৎকার দিলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। এ ঘটনা জানতে পেয়ে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক নুরুল আফসার সাদ্দামকে আসামী করে কালকিনি থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করার পর থেকেই আসামী পলাতক ছিল।পরে থানা পুলিশ ৭ জুলাই বুধবার ভোরে তাকে গ্রেফতার করেন ।
অপরদিকে উপজেলার ডাসার থানা এলাকার নবগ্রাম ইউনিয়নের নবগ্রাম গ্রামের উত্তর পারার দিলীপ তালুকদারের চরিত্রহীন ছেলে দিপক তালুকদার গত সোমবার সকালে ধর্ষিতার বাবা ও মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ওই স্কুলছাত্রীর বসতঘরে ঢোকে। এসময় ঘরে একাপেয়ে মুখে কাপড় বেধে জোড় পূর্বক ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে ধর্ষিতার মা বাড়িতে এসে মেয়েকে কাঁদতে দেখে জিজ্ঞাসা করলে মেয়ে সব ঘটনা খুলে বলে। পরে ওই স্কুলছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক দিপক তালুকদারকে আসামী করে ডাসার থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে। ডাসার থানা পুলিশ ধর্ষক দিপক তালুকদারকে রাতে গ্রেফতার করে আজ ৭ জুলাই দুপুরে আদালতে প্রেরন করেন।
কালকিনির ষষ্ঠ শ্রেনীর স্কুলছাত্রীর বাবা কান্না জরিত কণ্ঠে বলেন, আমার বোন জামাইকে ব্যবসা করার জন্য আমাদের এলাকায় রেখেছি। আর সে এখন আমার পরিবারের সর্বনাশ করেছে ।
এদিকে নবম শ্রেনীর স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, আমার চাচাতো ভাই আমার মেয়েকে ঘরে একা পেয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। তাই তার বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছি। আমি ওর ফাঁসি চাই। ধর্ষক দিপক এর আগে দুইটি বিয়ে করেছে। ওর চরিত্র ভালো নয়।
কালকিনি থানার ওসি মোঃ ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং আসামী নুরুল আফসার সাদ্দাম কে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
উপজেলার ডাসার থানার ওসি মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, নবম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং আসামী দিপক তালুকদারকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।