শুক্রবার দুপুরে নড়িয়ার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাচক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় উপসহকারী প্রকৌশলী সোহেল অভিসহ আরও সাত ব্যক্তি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সরকারের গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে এলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করেছে।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্র জানায়, ভোজেশ্বর ইউনিয়নের পাচক গ্রামে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ চলছে। গতকাল দুপুরে ওই প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করতে গেলে পাচক গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল গোরাপীর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন পিআইও আহাদি হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী সোহেল অভি, সুপারভাইজার মো. রাসেলের ওপর হামলা চালান। এ সময় প্রকল্পের কাজ করতে থাকা শ্রমিকেরা তাঁদের রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাঁদের ওপরও হামলা করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পুলিশ ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে খোকন ছৈয়াল, বোরহান গোরাপী, সোহেল রানা তালুকদার, লিটন গোরাপী ও আবদুল রব ব্যাপারীকে আটক করেছে।
নড়িয়ার ইউএনও শেখ রাসেদউজ্জামান বলেন, পিআইওর মাথায় মারাত্মক আঘাত করা হয়। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে থাকা ওই দুই সহকারী ও শ্রমিকেরা আহত হয়েছেন। তাঁদের নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকারি কাজ বাস্তবায়নকালে সরকারি কর্মকর্তার ওপর এ হামলা ন্যক্কারজনক। ইতিমধ্যে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ভোজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হক ব্যাপারী বলেন, সরকারের এই উন্নয়ন প্রকল্প যাঁরা সহ্য করতে পারেন না, তাঁরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। সরকারি জমিতেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এখন ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমন সময় স্থানীয় জয়নাল গোরাপীর নেতৃত্বে কয়েকজন আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমির মালিকানা দাবি করছেন। ওই সব লোকজনই সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করেছেন।
বিষয়টি জানতে জয়নাল গোরাপীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনি সংকর কর বলেন, প্রকল্প কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।