মডার্নার ৪০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন ইন্দোনেশিয়ায় পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এ বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশ্চিত করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ইন্দোনেশিয়ায় দৈনিক করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় জরুরিভিত্তিতে লকডাউন দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ থেকেই লকডাউন কার্যকর হয়েছে। খবর আল জাজিরা।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় ইন্দোনেশিয়ায় যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে। এই ভ্যাকসিন ইন্দোনেশিয়ায় করোনার বিরুদ্ধে জনগণকে সহায়তার জন্য পাঠানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৫ হাজার ৮৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। একই সময়ে মারা গেছে ৫৩৯ জন। গত ফেব্রুয়ারিতে জাকার্তায় অ্যাক্টিভ কেস ছিল ২৭ হাজার। তা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজারে। সংক্রমণের গতি একই থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই এই সংখ্যা এক লাখে পৌঁছে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২২ লাখ ২৮ হাজার ৯৩৮। এর মধ্যে মারা গেছে ৫৯ হাজার ৫৩৪ জন।
সংক্রমন বাড়তে থাকায় দেশটির প্রধান দ্বীপ জাভায় আবারও লকডাউন জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় বালি দ্বীপেও পুনরায় লকডাউন জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার থেকে এই দুই দ্বীপে চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা আনা হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর থাকবে।
গত কয়েক মাসে ইন্দোনেশিয়ায় কয়েক লাখ কোভিড কেস শনাক্ত হয়েছে। ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের ভিড় বেড়ে যাওয়া এবং ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। আগামী দুই সপ্তাহ লকডাউন জারি থাকবে এবং এর ফলে প্রতিদিন নতুন সংক্রমণ ১০ হাজারের নিচে নামানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রতিদিন ২০ হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
নতুন বিধি-নিষেধের আওতায় অনাবশ্যক ব্যবসা-বাণিজ্যে নিয়োজিত কর্মীরা বাড়িতে বসেই কাজ করবেন। এছাড়া বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রেখে পাঠদান চালিয়ে যেতে হবে। শপিংমল, বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান, পার্ক বন্ধ থাকবে। তবে কোনও খাবারের দোকানে বসে খাবার গ্রহন করা যাবে না।
স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ ও জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত কার্যক্রম শতভাগ চালু থাকবে। এসব কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত লোকজন ঘরের বাইরে বের হতে পারবেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। দেশটির খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের প্রধান পেনি কে লুকিতো জানিয়েছেন, শুক্রবার জরুরি ব্যবহারের জন্য মডার্নার ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী শুক্রবার এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়া ১৮ বছরের কম বয়সী সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। ইন্দোনেশিয়া মূলত চীনের সিনোভ্যাকের ওপর বেশি নির্ভরশীল। তবে এখন অন্যান্য দেশ থেকেও ভ্যাকসিন সরবরাহের চেষ্টা করছে দেশটি।
Keep this going please, great job!\r\n\r\nFeel free to surf to my website : youtube mp3 downloader