ঢাকা, বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন
কঠোর অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী,মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট
মিয়া মোহাম্মদ ছিদ্দিক,কটিয়াদী

কভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে আজ থেকে দেশজুড়ে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন সড়ক ও মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তারা লোক চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। তবে সড়কগুলোতে রিকশা চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়িও দেখা গেছে।বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন চলবে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, সকাল থেকে কটিয়াদী সদরের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙখলা বাহিনীর সদস্যরা টহলে বেরিয়েছেন। লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে আছেন ভ্রাম্যমান ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিধি-নিষেধ বান্তবায়নে মাঠে রয়েছেন। এদিকে সপ্তাহব্যাপী এই লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে পুলিশ। বিধি-নিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনীও। সকালে কটিয়াদী বাসট্যান্ড থেকে শুরু করে সিএন্ডবি রোড,কলেজ রোড,কটিয়াদী-মঠখোলা,কিশোরগঞ্জ-ভৈরব আ লিক মহাসড়ক সদরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ  বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের চিত্র দেখা যায়। মোড়ে মোড়ে পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে; চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কাউকে থাকতে দিচ্ছে না তারা। সড়কে থামিয়ে কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন- এমন সব প্রশ্নের পর যৌক্তিক জবাব দিতে পারলেই সাধারণ মানুষকে গন্তব্যে যেতে দেওয়া হচ্ছে। না হয় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে সবাইকে। রাস্তায় গণপরিবহন চলছে না। তবে চলছে ব্যক্তিগত ও অফিসের গাড়ি। রিকশা চালু আছে। অনেকেই গন্তব্যে যাচ্ছেন হেঁটে। আগের লকডাউনে চেকপোস্টগুলোতে হাতেগোনা দু-চারজন থাকলেও আজ প্রতিটি চেকপোস্টে ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বরত দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ডিসি পর্যায়ের কর্মকর্তারাও সকাল থেকে মাঠে থেকে লকডাউন বান্তবায়নে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে কর্তব্যরতরা জানিয়েছেন। এর আগে বুধবার (৩০ জুন) কঠোর বিধি-নিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস,যানবাহন ও দোকানপাট বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এই সময়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের হলে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

চালক ও সাধারন লোকজন জানান,বিধিনিষেধ অমান্য করে সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল ও রিকশা বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হচ্ছে। রাস্তায় চলাচলরত যেসব ব্যক্তিগত যানবাহন অতিপ্রয়োজনে বের হয়েছে তাদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। অন্যদের জরিমানা করতে দেখা গেছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারায় কিছু কিছু সিএনজি,রিক্সা ও প্রাইভেটকারকে ৩০ মিনিট আটকে রেখে সময়দন্ড দেয়া হয়েছে।

x