ঢাকা, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
নাবালিকাকে বিয়ে করা চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
:মোঃ সালাউদ্দিন রুবেল

পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন হাওলাদার সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এবং এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে যে, ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার প্রেমের সম্পর্ক মেটাতে গিয়ে সালিশ বৈঠকে নাবালিকাকে জোরপূর্বক বিয়ে ও পরে আবার তালাক দেয়া এবং প্রেমিক ইমাম রমজানকে মারধরের ঘটনা ও তাকে আত্মহত্যার প্ররোচনায় বাধ্য করার জন্য তাকে অভিযুক্ত করা হয়।

আজ সোমবার সকালে পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর ২য়- আমলি আদালতে প্রেমিক ইমাম রমজান হাওলাদারের বড় ভাই হাফেজ মোঃ আল ইমরান বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার, শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, পলাশ হাওলাদার, সুজন হাওলাদার, নুরুল আমিন বাবু, আবু সাদেক এবং মাওলানা মো. আইয়ুব।

মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী এ্যাড. মো. আল আমিন জানান, অভিযুক্ত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। প্রথমত তিনি কন্যা নাবালিকা জেনেও তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোর পূর্বক বিয়ে করেন। পরে তার প্রেমিক রমজান হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে এবং বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা চালান।

আইনজীবী আরো জানান, এ ঘটনায় বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় খবর প্রকাশিত হলে তালাক নামা সৃষ্টি করেন ওই চেয়ারম্যান। এই ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ তার ৫ সহযোগী এবং নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী মাওলানা মো. আইয়ুবকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আদালতে কিশোরী নাজমিন আক্তারের (১৩) জন্ম সনদ এবং রমজান হাওলাদারের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেস্ট্র ২য়- আমলী আদালতের বিচারক মো. জামাল হোসেনের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জেলা পিবিআই প্রধানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x