ভৈরবের অদুরে নরসিংদীর মাহমুদাবাদে পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে বাসসহ বিভিন্ন যান বাহন আটকিয়ে দেওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। সরকার ঘোষিত দূরপাল্লার বাস যাহাতে রোডে চলাচল করতে না পারে সেজন্য চেকপোণ্ট বসিয়ে তল্লাশী শুরু করেছে ভৈরব হাইত্তয়ে থানা পুলিশ। কোন বাস.ইজিবাইক ও সিএনজি ভৈরবে প্রেবেশ করতে গেলেই পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। সিএনজিকে দিনভর আটকে রেখে জরিমানা করে ছাড়া হচ্ছে আর কোন বাস নিয়ম ভাঙ্গলেই দেওংয়া হচ্ছে ওই বাসের বিরুদ্ধে মামলা।
করোনার সংক্রমন হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাত্তয়ায় ঢাকার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে দূরপাল্লার বাস ও ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষনা করেছেন সরকার। আর সরকারী বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে বিভিন্ন যানবাহনে করে মানুষের ঢল নেমেছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। যায়গায় যায়গায় পুলিশের বাধার মুখে যাত্রী বহনকারী বাস মাইক্্েরাবাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। বাধার মুখে পড়ে যান বাহন থেকে নামতে বাধ্য হচ্ছে যাত্রী সাধারণ। ফলে নারী পুরুষ ও শিশুসহ বয়োবৃদ্ধরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। মাহমুদাবাদে আসার পর প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেটে ভৈরবে ঢুকছে মানুষের ঢল। এইখান থেকে সিএনজি, ট্রলার ও স্পিড বোটে চরে মানুষ যাচ্ছে নিজ নিজ গন্তব্যে। এই সুযোগে এক শ্রেনীর বাস মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার মালিক হাতিয়ে নিচ্ছে দ্বি-গুণ ভাড়া।
যাত্রীরা বলছেন, এত সল্প সময়ের মধ্যে লকডাউন ঘোষনা করা সরকারের ঠিক হয়নি। এরকডাউন মানুষকে হয়রানি করার সামিল। তাছাড়া আমরা ঢাকা থেকে বিভিন্ন যান বাহনে করে দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে আমাদেরকে বাসে কিংবা অন্যান্য যানে চরে আসতে হয়েছে। কিছু দুর আসার পরেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে পায়ে হেটে অনেকটা রাস্তা পার হতে হয়েছে। স্ত্রী সন্তানসহ মালামাল নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে আমাদের। তাছাড়া গন্তব্যের অর্ধেক রাস্তা আসতেই আমাদের টাকা শেষ হয়ে গেছে অতিরিক্ত টাকা ভাড়া দিতে গিয়ে। এ অবস্তায় আমরা কিভাবে আমাদের গন্তব্যে পৌছাব তা নিয়ে বড়ই দুশ্চিন্তায় আছি।
ভৈরব হাইত্তয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক বলেন, সরকার যোঘিত নিষেধাজ্ঞা পালনে আমরা বদ্ধ পরিকর। আমরা কাউকেই কোন রকম ছাড় দিচ্ছিনা। সড়কে যানবাহন চলাকালে অনিয়ম পেলেই নেয়া হচ্ছে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা।