বিগত ৬৫ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। রোববার রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৯৮৪ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
দুই মাসের বেশি সময় রাজ্যটিতে ৪ হাজারের নীচে নামল দৈনিক সংক্রমণ। শেষবার চার হাজারের নীচে দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৯ এপ্রিল। সে দিন সংখ্যাটা ছিল ৩ হাজার ৬৮৪। তার পর সংখ্যাটা ক্রমেই বেড়েছে। গত মে মাসের মাঝামাঝি সেটা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গতদিনসহ এখন পর্যন্ত রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৬১ হাজার ২৫৭ জনে। সংক্রমণ কমলেও সক্রিয় রোগী বাড়ছে। গত ৯ জুন যে ১৫ হাজার থাকলেও রোববার তা সাড়ে ১৭ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এছাড়া কমেছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাও। তিন হাজার থেকে তা এক লাফে আড়াই হাজারের নীচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৯৭ জন। তবে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল প্রশাসনের। গত শনিবারের তুলনায় কিছুটা বেড়ে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পজিটিভিটি রেট’ অর্থাৎ সংক্রমণের হার কমছে একটু একটু করে। গতদিন সংক্রমণের হার ছিল ৭ দশমিক ১৩। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬০ হাজার ১১৩ জনের। এর মধ্যে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ মানুষের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে আগের দিনের তুলনায় টিকা দেওয়ার সংখ্যাও কিছুটা কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা পাশ্চিমবঙ্গের ২ লাখ ১৪ হাজার ১৫৫ জন মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার পর্যন্ত রাজ্যটিরে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭৬০ জন টিকা দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা। আক্রান্তের তালিকায় পরের স্থানটি প্রাদেশিক রাজধানী কলকাতার। এই দুই জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৫৯৭ এবং ৪২৬ জন।
এদিকে উত্তর চব্বিশ পরগনায় মৃত্যু হয়েছে করোনায় ২০ জন রোগীর। অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও ১৫ জন। এছাড়া হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও মহামারি করোনা সংক্রমণ বেড়েছে।