বাড়ির বিদ্যুৎ বিল ২০ হাজার টাকা দেখে যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে এক স্কুল পিওনের । ২ ফ্যান,৩ বাতি, ১ ফ্রিজ ব্যবহারে বাড়ীর বিল ২০ হাজার টাকা কীভাবে আসে এটার জবাব খুঁজছেন তিনি। একটি স্কুলে মাসিক ১০হাজার টাকা বেতনে চাকরি করেন তিনি। তা দিয়ে পরিবারের ৫ জন সদস্যকে নিয়ে কোনভাবে জীবনযাপন করছেন তিনি । তারপরেও সবার খরচ চালিয়ে মাস শেষে কিছু না কিছু দেনা করতে হয় তার। গত মে মাসে বিদ্যুৎ বিল ২০ হাজার টাকা দেখে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম রঘুরামপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলারচর এন্তাজউদ্দিন পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের পিওন আব্দুল হক মুন্সি। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা । যেখানে নিজের পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয় সেখানে ২০ হাজার টাকার বিল দিবে কীভাবে?
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ আব্দুল হক মুন্সি মাদারীপুুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের একজন নিয়মিত গ্রাহক, কখনো বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখে না। তাছাড়া তার সামন্য বেতনের চাকরির টাকা দিয়ে বিদ্যুৎ বিল দিয়ে সংসার চালাতে অনেক কস্ট হয়। তারপর কখনো বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখে না। দুটি ফ্যান, তিনটি বাতি ও একটি ফ্রিজ ব্যবহার করে পিছনের মাস গুলোতে বিল এসেছে ২৪৪, ২০৩, ৩৬৬,৩৯৫, ৪৬২ টাকা সর্বচ্চো।
কিন্তু মে মাসে একই বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে প্রায় ২০হাজার টাকা (১৮৮৫ ইউনিট)। যাহা জুন মাসে পরিশোধ করতে হবে। যদি তারিখ মত পরিশোধ না করা হয়, তাহলে গুনতে হবে বাড়তি আরও ১হাজার টাকা জরিমানা। এমন বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার আগেই গত ৩০মে বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করে পুণরায় বিদ্যুৎ বিল করার আবেদন করা হলেও তার কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে। পুণরায় ১০জুন আবারও অফিস আবেদন করতে বলেন তদন্ত করার জন্য। এর আগে মিটার পরিবর্তন করে দিলেও বিল সংশোধন করা হয় নাই। এই বিদ্যুৎ বিলের কথা শুনে চিন্তায় চিন্তায় অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে গ্রাহক।সংশ্লিষ্ট যাদের কাছে যান তারাই জানায় বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে।’
মোঃ আব্দুল হক মুন্সি বলেন, ২০ হাজার টাকার বিল দেখে আমি ২ দিন খাবার ও খাই নাই চিন্তায়। এতো টাকা কিভাবে পরিশোধ করমু, আমার বেতনের টাকার দুইগুন টাকা বিদ্যুৎ বিল আসছে। আমি এই নিয়ে দুই বার আবেদন করছি কোন সমাধান পাই নাই। প্রথম প্রথম অফিসে আসলে এইখানের বড় স্যার জানায় বিলতো আপনার মিটারে উঠছে আমরা কি করতে পারি। বিল পরিশোধ করতেই হবে। এই অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করার অভিযোগ করলে একটি তদন্ত করা হয়।সেখানে শুধু আমি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ চালাই কিনা সেটা দেখা হয় কিন্ত আমার বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করে নাই তারা। আবার বৃহস্পতিবার (১০ জুন) আসলে আমাকে আবারও আবেদন করতে বলে। এই বিদ্যুৎ বিল আমি কিভাবে দেব? আমি এর একটা সমাধান চাই।
মাদারীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ম্যানেজার প্রকৌশলী সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন জানান, বিষয়টি আমি নিজেই দেখতেছি এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক, আমি বিষয়টি নিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর ম্যানেজারের সাথে কথা বলে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য বলব।