শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে রাজনগর ইউনিয়নের জমির উদ্দিন মাদবর কান্দি, সাতগোরিয়া কান্দি, পুনাইখার কান্দি গ্রামে দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন, ককটেল বিস্ফোরণ করে ভাংচুর করা হয়েছে অর্ধশতাধিক বসত ঘর বাড়ি।
সংঘর্ষে আহত ব্যাক্তিরা হলেন, স্থানীয় সফিক মাদবর, ইমন মাদবর, জামাল সরদার, বাদসা মাঝি, আজিজুল মাঝি, বারেক মাদবর, সজিব মাদবর, দিদার মাজি, করিম মাঝি, নুরজামাল মাদবর, নুরুল হক মাদবর, ছত্রর মাদবর ও আজিজুল মাদবরের নাম পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে সজিব মাদবর, দিদার মাঝি, করিম মাঝি, নুরজামাল মাদবর, নুরুল হক মাদবর ও আজিজুল মাদবরের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবনি শংকর বলেন, রাজনগর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার উভয় গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ওসি আরও বলেন, সংঘর্ষে আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ও কয়েক জনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোন অভিযোগ হয়নি এবং কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে- ঘটনার পর থেকেই থমথম অবস্থা বিরাজ করছে এলাকাগুলোতে। পুরুষ শূর্ণ হয়ে পড়েছে অনেক এলাকা। মোড়ে মোড়ে বাড়ানো হয়েছে পুলিশ টহল। যদিও রাজনগর ইউনিয়নটিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা নতুন কিছু নয়।
এরআগেও একাধিকবার সংঘর্ষের জড়িয়ে প্রাণ গেয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা, কলেজ ছাত্র সহ বেশ কয়েকজনের। এরপরও সংঘর্ষ রোধে স্থানীয় প্রশাসন নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি জড়িত গ্রুপগুলো। যার কারণে এবারও এমন সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্কিত বলছেন স্থানীয় সাধারন মানুষ।