আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলী উপজেলা যুবলীগের নেতা মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান মৃধাকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হাত ও পা কেটে দেয়ার প্রতিবাদে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে আমতলী পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগ।
আমতলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মাহবুব ইসলামের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি আমতলী পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষন শেষে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভার মধ্যে দিয়ে শেষ হয় ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. আব্দুস সোবহান লিটন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজ, ছাত্রলীগ নেতা মো. তৌহিদুল ইসলাম শুভ, সবুজ মালাকার, ইসফাক আহমেদ ত্বোহা, মেহেদি হাসান, মো. রকিব প্রমূখসহ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেন। প্রতিবাদ সভায় নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানান পুলিশ প্রশাসনের প্রতি।
উল্লেখ্য (২১মে) শুক্রবার উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে ও উপজেলা যুবলীগ নেতা মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাসান মৃধা রাত পৌনে নয় টারদিকে দাওয়াত খেতে উপজেলার মাইঠা গ্রামে যাওয়ার পথে রাস্তায় ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে আজাদ ও হাসানকে ধরে শারিকখালী খালের পাড়ে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আজাদের দুই হাতের বাহু, তালু, কব্জি, দু পায়ের হাটু, গোড়ালী এবং হাসানের দু’হাতের বাহু ও কব্জি কেটে দেয়। সন্ত্রাসীরা তাদের কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে আসে। যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ ও শ্রমিকলীগ নেতা মো. হাসান মৃধা বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আমতলীতে ঘূর্নিঝড় ইয়াসে মাছের ঘের ও পুকুরে ব্যাপক ক্ষতি
আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি :ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তান্ডবে বরগুনার আমতলী উপজেলায় পুকুর ও মাছে ঘেরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার (২০মে) ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পূর্নিমার জো এর কারনে প্রবল জোয়ারের চাপে প্লাবিত হয়ে উপজেলার প্রায় ২৪৭ পুকুর ও ঘেরের বিভিন্ন প্রজাতির চাষ করা মাছ ভেসে গিয়েছে।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোসা: হালিমা সরদার মুঠোফোনে বলেন, ইয়াসের প্রভাবে বিপদ সিমার চেয়ে ৬২সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়। যার কারনে আমতলী উপজেলার নিমা ল প্লাবিত হয়ে ২শ’৪৭ পুকুর ও ঘেরের ২২.৩৯০ মেট্রিকটন মাছ ভেসে যায়।এতে প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ঘের মালিকরা জানান,আমরা মাছ চাষে নির্ভরশীল। এবারে ঘূর্নিঝড় ইয়াসে আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানি ডুকে ঘেরের মাছ ভাসিয়ে নিয়েছে। এতে কয়েক লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে জেলায় পাঠানো হবে।পরবর্তী নির্দেশনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।