ঢাকা, মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলার প্রস্তুতি
Reporter Name

জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নি¤œচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গভীর নি¤œচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও ঘূনীভূত হয়ে ঘূর্নিঝড়ে রুপ নিয়ে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। নি¤œচাপটি সোমবার সকাল নয়টা পর্যন্ত পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার দক্ষিনে অবস্থান করছিল। পায়রা বন্দরকে ২ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান।

গভীর নি¤œচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও নদী  কিছুটা উত্তাল হয়ে আছে। নদী ও সাগরে এথন পর্যন্ত স্বাভাবিক জোয়ার রয়েছে। গতকাল রবিবার থেকে উপকূলীয় এলাকার আকাশ হালকা মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন বৃস্টিপাত নেই। ২০মে গভীর সাগরে সকল মাছ শিকার নিষিদ্ধ থাকায় এ মুহুর্তে বঙ্গোপসাগর কোন ট্রলার ও নৌকা নেই। অভ্যান্তরীন রুট সকল ধরনের ছোট নেী-যান চলাচল করছে।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় পটুয়াখালীতে দুর্যোগ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে জেলা প্রসাশকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরী। সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

সভায় ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি তুলে ধরে জেলা প্রশাসক জানান, জেলায় ৮০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৯৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানিসহ মোমবাতি ও দিয়াশলাই মজুদ রাখার কাজ শুরু করা হয়েছে।  বিভিন্ন উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ২ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

প্রস্তত রাখা হয়েছে পুলিশ, সিপিপি, রেড ক্রিসিন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ ফায়ার সার্ভিসের কমিউনিটি ভলান্টিয়ার টিমের সদস্যদের। এছাড়া জেলা প্রশাসনের একটি, জেলা পুলিশ একটি ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটিসহ মোট তিনটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় একইভাবে কন্ট্রোলরুম চালু করা হয়েছে।

x