রিয়াজ মাহমুদ, বাউফল প্রতিনিধি: পটুয়াকালীর বাউফলে সেই সুধির নট্র ওরফে সুধির নন্দীর অত্যাচার ও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন দাশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শিব রতন নামের এক ব্যক্তি । আজ শনিবার বেলা ১১টায় বাউফল প্রেসক্লাবে এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি সুধির নট্রর আগ্রাসি ছোবল থেকে হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শিব রতন উল্লেখ করেন,বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের দাসপাড়া ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত সুখরঞ্জন নট্টোর ছেলে সুধীর নট্ট। তিনি অত্যান্ত নি¤œ আয়ের মানুষ ছিলেন। এক সময় তিনি দিনমজুর ও শাপলা বিক্রি করে সংসার চালাতেন। সুধীর নট্ট বাউফল পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাবু সত্যরঞ্জন সাহার বাসায় কাজ করতেন এবং সত্যরঞ্জন সাহার বৈশাখী সিনেমা হলের মাইক প্রচার করতেন। এক সময় সুচতুর সুধীর নট্র সত্যরঞ্জন সাহাকে বিতারিত করে ঐ সিনেমা হলটি নিজের কব্জায় নিয়ে নেয়। তার ছোট ভাই সুশিল নট্ট সত্যরঞ্জন সাহার নুরিয়া মার্কেটের জুয়েলারি’র দোকানের কর্মচারী ছিলেন। পরবর্তীতে সুধীর জুয়েলারি দোকনটিও তার কব্জায় নিয়ে নেয়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, সুধীর নট্ট তার বাড়ির লোকজনসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক পরিবারকে জিম্মী করে রেখেছেন। দাসপাড়া গ্রামের সুনিল নট্টোর সাথে সুধীর নট্ট জমি জমা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি করে। তাদের বসত ঘরটি ভেঙ্গে পরলেও সুধীর নট্টোর প্রধানমন্ত্রীর ছেলে পরিচয় প্রভাব দেখিয়ে তা মেরামত করতে দিচ্ছেন না। তাদের জায়গার গাছ গাছালি কাটতে দিচ্ছে না। কথায় কথায় থানা থেকে পুলিশ ডেকে এনে তাদেরকে হয়রানী করেন। তার হাতে পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শ্রীধর ঠাকুর, নারায়ন ঠাকুর, সুশান্ত ঠাকুর, ঝন্টু ঠাকুর জিম্মি হয়ে রয়েছেন। তাদের জায়গা দিয়ে সুধীরকে রাস্তা না দেওয়ায় সুধীর তাদেরকে শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। সুধীর ঝন্টু ঠাকুরের স্ত্রীকে মারধর করেছেন।
তিনি সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে সুধির নট্রর এ বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে শিব রতনের বৃদ্ধ মা গীতা সুধিরের অপর্কম ও অত্যাচারের কথা তুলে ধরতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তিনি বলেন,‘ সুধির নট্রর ভয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ভীতসন্ত্রস্ত থাকে। সুধিরের কথা নাকি দেশের বড় বড় লোকজন উঠবস করে। তার ছেলের মুখে ভাত অনুষ্ঠানে নাকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার পাঠিয়েছেন এমন কথা বলে বেড়াচ্ছেন। স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনও তাকে সমিহ করে।’
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নির্যাতিত শিব রতনের বাবা সুনিল চন্দ্র, মা গীতা রানী, চাচা বিমল নট্র, অমল নট্র, চাচি আরতী রানী, পুতুল রানী, শ্রীধর ঠাকুর ও মোঃ কবির হোসেন হাওলাদার।