ঢাকা, শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
আমতলীতে মামলার বাদী ও আসামীর মারামারি আহত – ৩
Reporter Name

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: বরগুনার আমতলীতে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামারির ছিনতাইয়ের ঘটনার বিচার চেয়ে কোর্টে মামলা করে বাড়ী যাওয়ার পথে মামলার বাদী ও আসামীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

জানা গেছে আমতলী উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের মো. সিদ্দিক হাওলাদারের সাথে একই গ্রামের মোকলেচ বিশ্বাস গংদের জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে ১৭মে দু গ্রপের মধে মারামারি হয়।

এ মারামরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিদ্দিক হাওলাদার বৃহস্পতিবার মোকলেচ বিশ্বাস, দেলেয়ার বিশ্বাস, আনোয়ার বিশ্বাস সাইফুল বিশ্বাসসহ ৯ জনকে আসামী করে আমতলী কোর্টে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমতলীকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার আদেশ প্রদান করেন।

যার মামলা নং সি আর ২৭০/২১(আম)। মামলা দায়ের করে সিদ্দিক হাওলাদার ও তার পিতা নয়া হাওলাদার আমতলী কোর্ট থেকে বের হয়ে বাড়ী যাওয়ার পথে আমতলী উপজেলা পরিষদ গেটে পৌছিলে মামলার আসামী মোকলেচ বিশ্বাসের সাথে দেখা হয়।

সেখানে বাদী ও আসামীর মধ্যে কথাকাটাটির একপর্যায়ে মারামারি হয়। মারামারিতে মামলার বাদী সিদ্দিক হাওলাদার তার পিতা নয়া মিয়া হাওলাদার ও আসামী মোকলেচ বিশ্বাস আহত হয়।

উভয় গ্রুপের মারামারি দেখে স্থানীয়রা থানা পুলিশে খবর দিলে থানা থেকে পুলিশ এসে দুই গ্রুপকে আমতলী হাসাপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান। মামলার বাদী সিদ্দিক হাওলাদার দাবী করেন কোট থেকে মামলা করে বাড়ী যাওয়ার পথে তাদেরকে মামলার আসামী মোকলেচ বিশ্বাস লোকজন নিয়ে মারধোর করেছেন।

এ ব্যাপারে মোকলেচ বিশ্বাস বলেন ,সিদ্দিক হাওলাদারের সাথে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে এ ঘটনায় একাধিক সালিশ বৈঠক হয়েছে তারা সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানেনা । ২০ মে দুপুরের সময় আমতলী উপজেলা পরিষদ গেট সলগ্ন এলাকায় সিদ্দিক হাওলাদার ও তার পিতা নয়া মিয়া হাওলাদার আমাকে দেখে অশ্লিল ভাষায় গালাগাল করেন।

আমি তার প্রতিবাদ করলে সিদ্দিক হাওলাদার ও তার পিতা নয়া মিয়া হাওলাদার আমাকে মারধোর করে এতে আমার একটি দাতভেঙ্গে যায়।

সিদ্দিক হাওলাদার ১৭ মে সকালে জোর করে জমি দখল করতে যায়, তখন আমরা জমি দখলে বাধা দিলে সিদ্দিক হাওলাদার ও তার সাথে থাকা লোকজন আমাদেরকে মারধোর করেন। এ ঘটনায় আমার বড় ভাই দেওলায়ার বিশ্বাস বাদী হয়ে সিদ্দিকুর রহমান, ফারুক হাওলাদার , নয়া হাওলাদার , বাশার হাওলাদারকে আসামী করে আমতলী থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন। যা তদন্তানাধীন অবস্থায় রয়েছে। আমতলী থানার এস আই সলিমুল ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।

আমতলী থানার ওসি তদন্ত রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, মোকলেচ হাওলাদার থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।

এস আই সলিমুল তদন্ত করছেন। ঘটনার সত্যতা পাওয় গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাদী ও আসামীর মারামারির ঘটনা শুনে থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোন পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x