রিয়াজ মাহমুদ, বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারনে দেশব্যাপি লঞ্চ চলাচল বন্ধের কারনে পটুয়াখালীর বাউফলের নদীবন্দর ঘাট শ্রমিকদের করুন অবস্থা দেখা দিয়েছে । দেশের বিভিন্ন এলাকার ঘাট শ্রমিকদের সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে সহযোগীতা পেলেও তাদের ভাগ্যে জোটেনি কোন সহায়তা। তাই ঈদের আনন্দও নেই এ সব ঘাট শ্রমিক পরিবারে। উপরন্তু ছেলেমেয়েদের নিয়ে সংসার চালাতেই হিমসিম খাচ্ছেন অনেকে। ঈদে ফিরনি-পায়েসের মতো সামন্য আনন্দ আয়োজন স্পস্টতই যেন অনিশ্চি হয়ে দেখা দিয়েছে তাদের।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, ১৪ এপ্রিল থেকে দেশ ব্যাপি সরকার লকডাউন ঘোষনা করলে সকল প্রকার গনপরিবহন বন্ধ থাকে। এরপর সরকার ৫ মে থেকে লকডাউন শিথিল করে গনপরিবহন জেলা ভিত্তিক চলাচলের অনুমতি দিলেও লঞ্চচলাচল বন্ধই থাকে।
ঘাট শ্রমিক সংগঠন সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ৮টি লঞ্চঘাট রয়েছে। এ সকল ঘাটে শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় শতাধিক। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে লঞ্চচলাচল বন্ধ থাকার কারনে শ্রমিকরা বেকার জীবন যাপন করছেন। নেই কোন আয় রোজগার।
উপজেলার কালাইয়া বন্দর লঞ্চঘাট শ্রমিকের সভাপতি কালু সরদার বলেন, এই ঘাট সংশ্লিষ্ট প্রত্যক্ষ পরোক্ষ প্রায় ত্রিশজন শ্রমিক আছে। যারা শতভাগ লঞ্চ চলাচলের উপর নির্ভরশীল। এ সকল শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা মানবিক জীবন যাপন করছেন।
বগা বন্দর লঞ্চ ঘাটের শ্রমিক শাহ আলম বলেন, আমাদের জেলা বন্দর লঞ্চঘাটের শ্রমিকদের করোনাকালনি সময়ে সহযোগীতা করলেও বাউফলে কেন পাব না। আমরা ঈদের আগের সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগীতা দাবী করছি। যাতে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে একটু ঈদ উৎসব পালন করতে পারি।
কালাইয়া বন্দর লঞ্চঘাট ইজারাদার মো. জামির বলেন, আমরা কি করতে পারি বলেন, ঘাট বন্ধ থাকায় আমাদেরেতো আয় বন্ধ। তারপড়ে চেষ্টা করব ঘাট শ্রমিকদের জন্য কিছু করা যায় কিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, সরকার থেকে মুলত মটর শ্রমিকদের মধ্যে সহযোগীতা করার নির্দেশনা এসেছে। ঘাট শ্রমিকদের বিষয়ে কিছু করা যায় কিনা চেষ্টা করা হবে।