ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৪ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ের কাউন চাষ বিলুপ্তির পথে, এখন শখের আবাদ
Reporter Name

মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা সহ উত্তরাঞ্চলে এক সময় প্রচুর কাউন চাষ হতো। আবার এক সময় গরিবের প্রধান খাদ্যও ছিল এ কাউন। দিনের পর দিন মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষের অবস্থারও পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে এখন আর সে ভাবে এসব অঞ্চলে কাউন চাষ হয় না।

কাউনের জায়গা দখল করে নিয়েছে  ভূট্টা, বোরো ধান সহ বিভিন্ন প্রকার অর্থকারি ফসল। কালের আবর্তে কাউন চাষ হারিয়ে গেলেও নিজেদের খাওয়ার জন্য ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা মলানি এলাকায় কয়েকজন কৃষক কাউন চাষ করেন। কাউন চাষ তেমন দেখা না গেলেও কাউনের চালের নানা ধরনের খাবার ধনীদের বিলাসী খাবারে পরিণত হয়েছে । বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের তেগাছিয়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন জানায়, তিনি এলাকায় নিজের জমিতে কাউন চাষ করছেন, এটা চাষ করলে ভালো দাম পাওয়া যাবে বললেন ।

আনোয়ার হোসেন  ,  ছাড়াও ঠাকুরগাঁও জেলায় কয়েক জায়গায় হাতেগোনা কয়েকজন কাউনের চাষ করেন। কাউন চাষে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়ে এবং কাউন গাছ থেকে জমির ভালো কম্পোষ্ট সার তৈরি হয়। কাউনের চাল বর্ণে হলুদ। এর চালের ভাত খেতে খুবই সুস্বাদু। ছোট দানাবিশিষ্ট কাউন চালের পায়েসের স্বাদ দারুণ। এ ছাড়া এ চাল দিয়ে নানা ধরনের খাবারও তৈরি করা যায়। মিষ্টান্ন পায়েস, ক্ষির ও ঝাল খাবার হিসেবে খিচুরি, পোলাও রান্নায় কাউন চাল এখন ধনীদের প্রিয় বিলাস খাবার। বালিয়াডাঙ্গী

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুবোধ চন্দ্র রায় ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান জানান, ছোট দানাবিশিষ্ট কাউন প্রায় সব ধরনের মাটিতে চাষ করা যায়। তবে পানি জমে না এমন বেলে দো-আঁশ মাটিতে এর ফলন ভালো হয়। আগের মতো এখন আর কাউন চাষ করা হয় না কৃষকরা তবে বিলুপ্তি প্রায় এই শস্যটি আগামি মৌসুমে উৎপাদনের ও ঐতিয্য ধরে রাখতে কৃষক পর্যায়ে সর্বাত্তক সহযোগিতা প্রদান করা হবে ।

x