আজ পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ৫৩ লাখ (৫২ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৮ জন) মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৯৭ জন ও নারী ১৯ লাখ ৮৫ হাজার ৬৫১ জন।
পাশাপাশি এ পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৬৬ লাখ ৯৩ হাজার ৫০৭ জন।
বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের (এমআইএস) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়: মোট ভ্যাকসিন নেওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ভ্যাকসিন নিয়েছেন দুই লাখ ৫১ হাজার ৯৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০ লাখ ৬২ হাজার ১৩০ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ লাখ ৯৪ হাজার ১৭৬ জন, রংপুর বিভাগে ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮২ জন, খুলনা বিভাগে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৪৭২ জন, বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৩২ হাজার ৭০৩ জন এবং সিলেট বিভাগে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৭৩৯ জন।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে। টিকাদানের প্রথম দিন মোট ৩১ হাজার ১৬০ জনকে টিকা দেয়া হয় বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল।
বর্তমানে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৭০ লাখ ডোজ রয়েছে এবং করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সেসময় দুই দিনে মোট ৫৬৭ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক প্রয়োগ না হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী তাদের এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। কারও মধ্যে গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেওয়ায় পরিকল্পনা মত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণ ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হয়।