মোঃ হাবিবুর রহমান মান্দা (নওগাঁ) সংবাদদাতাঃ নওগাঁর মান্দায় প্রেম নিবেদন প্রত্যাক্ষান করায় ভাবির গোসল করার ছবি তুলে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে আলম সরদার নামে এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত হলেন, কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের পাইক পাড়া গ্রামের মৃত ফরেজ সরদারের ছেলে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে নওগাঁ জজকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত আলম সরদার কাঁশোপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত একজন গ্রাম পুলিশ এবং উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউপির পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলাসূত্রে জানা গেছে,
অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ আলম বাদীর সম্পর্কে দেবর হন। এই সুবাদে বড় ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তাকে বিভিন্ন সময় প্রেম নিবেদনসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজি না হওয়ায় বাড়িতে ভেতর ঢুকে গোসল করার সময় বিবস্ত্র করে ছবি তোলার পর ওই ছবিগুলো দিয়ে জিম্মি করে কুপ্রস্তাব দেন ওই লম্পট দেবর। তাতেও রাজি না হওয়ায় ওই ছবিগুলো ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করে এবং ভাবিবে জোরপূর্বকভাবে ধর্ষণের চেষ্টা করেন । এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে ন্যায় বিচারেরর আশায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে লম্পট দেবর আলম সরদারসহ মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে নওগাঁ জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রায় সাড়ে ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কোন আসামী আটক না হওয়ায় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী বলেন, আলমের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগের শেষ নেই। ও একের পর এরকম অন্যায় করার পরেও ক্ষমতার দাপটে পার পেয়ে যায়। এর একটা বিহীত হওয়া দরকার। আমি ওর উপযুক্ত শাস্তি চাই।
এদিকে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষ অভিযুক্তদের ন্যায্য বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ।
অভিযুক্ত গ্রাম্য পুলিশ আলম সরদারসহ অন্যান্যরা তাদের বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদেরকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসাতে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এব্যাপারে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নওগাঁ জজ কোর্টে এতদসংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন চকউলি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ইয়াকুব আলী।
মামলার তদন্তে থাকা চকউলি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ইয়াকুব আলী বলেন, মামলাটি চলমান। অচিরেই মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন কোর্টে পাঠানো হবে।