রমজানের রোজার মাগফিরাত তথা আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা প্রাপ্তির দশক চলমান। এ সময় প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য হলো আল্লাহর কাছ থেকে বেশি বেশি ক্ষমা চাওয়া। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে চাওয়া মাত্রই আল্লাহ বান্দাহর সমস্ত আমল কবুল করে তাকে ক্ষমা করে দেন।
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: কিছু রোজাদার এমন যারা শুধু ক্ষুধার্ত থাকা ছাড়া আর কোন কিছু লাভ করে না।হাদিসটি থেকে স্পষ্ট প্রতীয়মান, রোজা শুধু ক্ষুধার্ত থাকার নাম নয় বরং সব ধরনের মন্দ কথা ও কাজ ছেড়ে দেয়ার নাম রোজা।
দোযাহানের বাদশাহ নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা.) অপর হাদিসে বলেছেন: যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও বদ আমল বর্জন করে নাই, তাহলে তার পানাহার ছেড়ে রোজা রাখার দরকার নেই। কেননা এতে রোজাদার আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন বিনিময় পাবে না।
সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবী হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: তোমাদের কেউ যেন রোজা রাখা অবস্থায় কোন খারাপ কাজ না করে। যদি কেউ তার সাথে ঝগড়া করতে আসে তবে সে যেন বলে আমি রোজাদার।আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে গীবত করতে নিষেধে করেছেন। তিনি বলেছেন: তোমরা একে অপরের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কী কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করবে?[ সূরা আল হুজরাত, আয়াত নং ১২]
রোজাদার মন্দ ও খারাপ বাক্য উচ্চারণ থেকে বিরত থাকবে, আল্লাহর নির্দেশিত কোন কাজে সীমালঙ্গন করবে না, কারো দোষ চর্চা করবে না। কেননা এসব গুনাহের কারনে রোজা ভেঙ্গে না গেলেও রোজার সাওয়াব কমে যায়।
রোজার মাকরুহসমূহ:
গীবত এমনিতেই কবীরা গুনাহ। এ ধরনের অভ্যাস থেকে রমজান মাস ছাড়াও সবসময় বিরত থাকা কর্তব্য। এছাড়া মন্দ বা খারাপ বাক্য উচ্চারণ করা, বারবার কুলি করা, ইচ্ছা করে কানের ভিতরে পানি প্রবেশ করানো, রোজা রেখে একবারে চুপ করে বসে থাকা, কোন ওজর ছাড়াই ইফতারির সময় দেরি করা, দাঁত দ্বারা বুট অপেক্ষা ছোট কোন বস্তুর স্বাদ গ্রহণ করা, ভেজা কাপড় শরীরে জড়িয়ে রাখা, অন্য মহিলাদের প্রতি কুদৃষ্টি নিক্ষেপ করা ।
সুতরাং, আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে উপর্যুক্ত নিষিদ্ধ বিষয়াবলী বর্জন করে রমজানের প্রতিটি রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। আমীন।
… [Trackback]
[…] There you can find 11885 additional Info on that Topic: doinikdak.com/news/9942 […]
… [Trackback]
[…] Read More to that Topic: doinikdak.com/news/9942 […]