ঢাকা, শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন
হামরা সহায়তা চাইনা, শ্রম দিয়ে দুমুঠো খেয়ে বাঁচতে চাই
Reporter Name

হীমেল মিত্র অপু স্টাফ রিপোর্টার: বর্তমান অবস্থায় দেশে বৃহৎ আকারে দ্বিতীয় ধাপে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে,আর সরকার ঘোষিত এ বছরের দ্বিতীয় দফার লকডাউন এর সপ্তম দিনে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন কর্মস্থল বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার ২০শে এপ্রিল রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে প্রতিদিনের মত স্থানীয় ও বদরগন্জ,শ্যামপুর,লাহেরীরহাট,পানবাজার সহ দূরদূরান্ত থেকে কয়েক শত শ্রমিক তাদের শ্রম বিক্রয়ের জন্য একই স্থানে একত্রিত হয়েছিল।তবে স্বাভাবিক দিনগুলোতে সকাল নয়টা সাড়ে নয়টার মধ্যেই অধিকাংশ শ্রমিক শ্রম বিক্রয় করে কর্মস্থলে কিংবা গৃহস্থ বাড়িতে যেতে পারত।তবে আজকের চিত্রটা ছিল ভিন্ন,বেলা ১১টায় ও তারা কোনো কাজের খোজ পায়নি,তাদের চোখে-মুখে একপ্রকার স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার চিত্র ফুটে উঠেছিল।

রমজান মাস আর সামনে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে এই সময়টাতে মুসলিম পরিবার গুলো নানা স্বপ্নে আর আনন্দে ভরে উঠে। তবে গত বছরের মতো এবারও যেন আনন্দময় স্মৃতি গুলো কেড়ে নিতে চলছে লকডাউন।শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ঈদকে ঘিরে প্রস্তুতি তো দূরের কথা প্রতিদিনের ইফতার আর সেহরিতে দুমুঠো খাবার খেতে পারাটাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কর্মের খোঁজে আসা একজন কর্মহীন শ্রমিক জানায় দীর্ঘদিন থাকি হামরা এটে কাজের খোঁজে আসতোছি। এটে থাকি প্রতিদিন রংপুরের বিভিন্ন এলাকাত কাজ কইরবার যাই। কিন্তু গেল ১০/১২ দিন থাকি অনেক জোন এক দোপর করি বসি থাকি খালি হাতে বাড়ি ফেরত যাওয়া লাগতোছে।আর এইভাবে কাজ না পায়য়া সংসারোত এখন করুন অবস্থা নামি আসছে।তাই হামরা এখন একেবারে নিরুপায়,বাড়িত বউ-বাচ্চাক দুইবেলা খিলবার গেলে ভিক্ষা করা ছাড়া কোন উপায় নাই। সরকারের কাছে আবেদন করি হামার সহায়তার দরকার নাই খালি যাতে আগের মত মুক্তভাবে কাম করি খাবার পাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x