হীমেল মিত্র অপু, স্টাফ রিপোর্টার: কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে পুলিশের চেকপোস্ট গুলোকে আরো বেশি তৎপর করা হয়েছে। চেক পোষ্ট গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
সাধারণ মানুষ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় চলাচলের ক্ষেত্রে চেক পোষ্ট গুলোতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে।
যথাযথ জরুরী সেবায় নিয়োজিত থাকলে তাদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে নতুবা ফিরতি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ির অভিমুখে।
এমনই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলেও রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেডিকেল পাকার মাথায় তেমন কোন প্রভাব পড়েনি লকডাউনের।
চোখে পড়ার মতো দোকান খোলা রয়েছে। মানুষের চলাচল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মাস্ক ছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে বাহিরে বের হচ্ছেন এই এলকার বাসিন্দারা।
রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হলেও মানুষ চলাফেরা করছে রাস্তায়। কোনো রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মানুষ বাহিরে বের হচ্ছে সরকারি বিধি নিষেধ অনুযায়ী লকডাউন এর কোন আলামত এখানে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
সপ্তাহব্যাপী সাত দিনের লকডাউন এর দ্বিতীয় দিনে বিকেল চারটার দিকে পুলিশের একটি ভ্রাম্যমান দল এসে মাইকিং করেন এবং দোকান গুলোকে বন্ধ করে দেন।
তারপরে দোকানগুলো সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ থাকলেও পুলিশ চলে যাওয়ার পরে আবার স্বাভাবিকভাবে খুলে ফেলা হয় দোকানগুলো।
এ থেকে বোঝা যায় মানুষ করনা নিয়ে যত বেশি ভীত নয়, তার থেকে বেশি ভীত তাদের ব্যবসা নিয়ে। সচেতনতা না মেনে রাষ্ট্রীয় সকল বিধিনিষেধ অমান্য করে এভাবে বিভিন্ন জায়গায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং দোকানগুলো খোলা রাখায় ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর ফলে বেড়ে যেতে পারে করোনার সংক্রমণ।