ঢাকা, শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন
মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে জমি জবর দখলে সহায়তার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
Reporter Name

মোঃ মনিরুল ইসলাম, পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি: পাইকগাছার হরিঢালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই মনিরুজ্জামান হাজরার বিরুদ্ধে অন্যের  বৈধ সম্পত্তি রাতের আঁধারে  প্রতিপক্ষ এক ভূমি দস্যু কর্তৃক দখল করার কাজে প্রত্যক্ষ  সহযোগিতার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এস  আই মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনে বুধবার  সকালে ধান্যচত্ত্বরে কপিলমুনিতে এক জনাকীর্ন সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী হরিঢালী ইউনিয়নের নোয়াকাঠী গ্রামের দিন মজুর জাহাঙ্গীর মোড়ল।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন উত্তর সলুয়া মৌজায় পৈত্রিক ভোগ দখলীয় ৮.৫০ শতক জমি-একই গ্রামের প্রভাবশালী ভূমি দস্যু মোস্তাম মোড়ল ওরফে কুরে মোস্তাম ও তার লোকজন জোর পূর্বক দখল করার তোড়জোড় শুরু করলে বিষয়টি তিনি হরিঢালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মনিরুজ্জামান হাজরাকে অবগত করেন। কিন্তু বিষয়টিকে তিনি কর্নপাত না করে গত ৩ এপ্রিল রাত ১২ টায় মোস্তাম মোড়ল এবং তার লোকজন এস,আই মনিরুজ্জামানের উপস্থিতিতে রাতের আঁধারে তার জমিতে প্রবেশ করে ঘেরা বেড়া দিয়ে জবর দখল করতে থাকে। ঘটনা জানতে পেরে নিরুপায় হয়ে অসহায় জাহাঙ্গীর কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সঞ্জয় দাশকে অবহিত করলে তিনি দ্রুত ঘটনাস্থলে সঙ্গীয় ফোর্স সহ এটি এস আই জাহিদুরকে পাঠায়। জবর দখল কাজে লিপ্ত থাকার সময় ঘটনাস্থল থেকে এটি,এস,আই জাহিদুর মোস্তাম মোড়লের ছেলে আলমঙ্গীরকে আটক করে কপিলমুনি ফাঁড়িতে আনার সময় মুহুর্তের মধ্যে এস আই মনিরুজ্জামান হাজির হয়ে-এটি এস আই জাহিদুরের নিকট থেকে আলমগীরকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলে এটা আমার এরিয়া বিষয়টি আমি দেখছি।

সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর বলেন, জবর দখলের সময় এস আই মনিরুজ্জামান পাশেই অবস্থান করে নজরদারি করছিল। এজন্য সে মুহূর্তের মধ্যেই হাজির হয়ে ওই দখলবাজকে ছাড়িয়ে নেন। তিনি আরো বলেন, প্রতিপক্ষ মোস্তাম মোড়লের সাথে মোটা অংকের টাকার চুক্তিতে তিনি এই দখল মিশনের দায়িত্ব নেন। তিনি দুঃখের সাথে আরো জানান, কপিলমুনি ফাঁড়িকে ঘটনাটি অবগত করায় রাগান্বিত হয়ে ওই রাতে আমাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে ক্যাম্পে রাতভর আটক রাখেন, আর এ সুযোগে প্রতিপক্ষ দখলকাজ শেষ করে। ক্যাম্পে আটক রেখে ক্ষুদার্ত অবস্থায় আমি নির্ঘুম রাত কাটাই। পরদিন আমার শ্যালক আমার সাথে দেখা করতে গেলে এস আই মনিরুজ্জামান তার কাছে ৫ হাজার টাকা দাবী  করে। কিন্তু কি কারণে আটক করেন এবং ওয়ারেন্ট আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব দেননি। এ কারণে তার দাবীকৃত ৫ হাজার টাকা দিতে রাজি না হলে তিনি আমার কাছ থেকে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে হুমকি দিয়ে বলেন আমার বিরুদ্ধে চললে এই সাদা কাগজ তোর জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে।

এদিকে জমি উদ্ধারের ঘটনায় আমি বিভিন্ন জায়গায় ধর্না দিলে সুচতুর মনিরুজজ্জামান ঘটনার কয়েক দিন পর আমাকে ডেকে আমাকে সহযোগীতা করবেন বলে মোস্তামের বিরুদ্ধে থানায় জি ডি করার পরামর্শ দেন। এসময় মামলা মোকদ্দমায় তার অজ্ঞতার কথা জানালে মনিরুজ্জামান সব দায়িত্ব নিজে নেবেন বলে তাকে আশ্বস্থ করেন। শেষ সম্বল ওই জমিটি ফিরে পাবার আশায় নিরীহ দিন মজুর জাহাঙ্গীর থানায় জিডির জন্য মনিরুজ্জামানকে ৫ হাজার টাকা দেন। নিয়মিত মালার জন্য  তার কাছ থেকে আরো ৩ হাজার টাকা নেন। আর নিজের খরচের জন্য তার কাছ থেকে ১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। ভূক্তভোগী জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার মতো অতি সাধারণ এক জন অভাবী লোকের কাছ থেকে কৌশলে এত গুলো টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং আমার বৈধ সম্পত্তি অন্যকে দখল করে দেওয়া কি পুলিশের ধর্ম?

এদিকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেওয়ায় জাহাঙ্গীরসহ তার পরিবার এক অজানা অতংকে রয়েছেন। ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

x