ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
লকডাউনে রিক্সা চালকদের দুঃখ
Reporter Name

 হীমেল মিত্র অপু স্টাফ রিপোর্টার: করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে দেশব‌্যাপী চলছে ৮ দিনের ‘কঠোর লকডাউন’। এই কারণে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যানবাহন। তবে বিশেষ প্রয়োজনে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচলের অনুমতি রয়েছে। রিকশা চালকরা বলছেন, নিম্ন আয়ের পেশাজীবীরা তাদের বাহনে চড়েন না খরচ বাঁচাতে। তারা হেঁটে হেঁটে কর্মস্থলে যান, বাসায়ও ফেরেন হেঁটে। আর মধ‌্যম ও উচ্চ আয়ের পেশাজীবীরা নিজস্ব পরিবহনে চলাচল করেন। তাই লকডাউনে বিপাকে পড়েছেন রিকশাচালকরা।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রংপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রাস্তার পাশে অপেক্ষমাণ রিকশাচালক ও যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, গণপরিবহনের ভাড়া অনেক কম। এখন গণপরিবহন নেই। রিকশা বা সিএনজিচালিত অটোরিকশাই শেষ ভরসা। কিন্তু এত ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যাওয়া আসা পোষায় না নিম্ন আয়ের পেশাজীবীদের।

রিকশাচালক আব্দুল খালেক। বয়স প্রায় ৫০ বছর। বাসায় মা, স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। মা ও এক মেয়ে অসুস্থ। নিয়মিত ওষুধ কিনতে হয়। তাদের ওষুধ কেনা ও খাবার খরচ চালাতে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। একদিন কাজ না করলে সংসার চলে না।

আব্দুল খালেক বলেন, ‘পরিবারের প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে হয়েছে। যেসব নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত কম খরছে গণপরিবহনে চলতেন, এখন তারা বেশি ভাড়ায় রিকশায় উঠতে চান না। আর উচ্চবিত্ত তো নিজেদের গাড়ি নিয়েই চলেন। লকডাউনে গাড়ি না চললেও আমাদের রিকশাচালকদের দৈনিক আয় কমে গেছে। আগে যেখানে ৫০০-৮০০ টাকার ওপরে আয় করতাম, এখন ৩০০ টাকা আয় করাও কঠিন।’

আরেক রিকশাচালক মো. হোসেন। দুই সন্তান আর স্ত্রী নিয়ে সংসার। দৈনিক ৫০০ টাকার ওপর খরচ থাকলেও আয় সেভাবে নেই। হোসেন বলেন, ‘লকডাউনে আপনারা ভাবেন, আমাদের অনেক ইনকাম। আসলে হিসাব তার উলটো। মানুষ খুব বেশি বের হয় না। যারা বের হয় রিকশায় ওঠে না। কার‍ণ তাদেরও আয় কমে গেছে। আগে গাড়িতে চলতো। এখন হেঁটে যায়। কেউ কেউ ওঠে। কিন্তু ভাড়া আহামরি বেশি নিতে পারি না।’

সোবহান উদ্দিন রিকশাচালকের সঙ্গে ভাড়া দরদাম করছিলেন। তিনি বলেন, ‘সীমিত আয়ের মানুষ আমরা। এত ভাড়া দিতে রাজকীয় চলাচল আমাদের পক্ষে তো সম্ভব না। তবু উপায় কী? অফিসে যেতে তো হবেই

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x