ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন
যুবকের প্রতারণা ,বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ , তদন্তে পিবিআই ।
'সাইফুল ইসলাম' জেলা প্রতিনিধিঃ

ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে এক নারী বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিগত ১৩-০৩-২০১৯ তারিখে ধর্ষণকারী যুবক নাহিদ হাসান পিতা আশিকুর রহমান । উপজেলা আড়াপাড়া জেলা মাগুরা । ওই যুবতীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে রাত্রি যাপন করে ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন। ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের মল্লিকা মার্কেটে ষষ্ঠ তলায় “হ্যাপি সপ” নামের দোকানে সেলসম্যান পদে চাকরির সুবাদে ধর্ষিতা কলেমা খাতুনের সাথে নাহিদের পরিচয় হয়। সেখান থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় । ধর্ষক নাহিদ ধর্ষিতাকে ৫ লক্ষ টাকা কাবিননামায় বিবাহ করার প্রতিশ্রুতিতে সাতক্ষীরায় নিয়ে যায় । সেখানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে ‌। সেখান থেকে পরদিন তারা ঢাকায় ফিরে আসে । ধর্ষিতা কলিমা খাতুন নাহিদকে বারবার বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিবাহ করবে এবং বিবাহপূর্বক কাবিননামার রেজিস্ট্রেশন করবে বলে আশ্বস্ত করে ধর্ষিতার মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করে ০৪-০৬-২০১৯/ এবং ১৫-০৮-২০১৯ মতিঝিলের একটি আবাসিক হোটেলে আবারো স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে রাত্রি যাপন করেন । এবং ওই নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন । পরবর্তীতে নাহিদ বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিবাহের বিষয়টা পাশ কাটিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে । একপর্যায়ে তাদের দূরত্ব বাড়তে থাকে এবং পরবর্তীতে নাহিদের সাথে ধর্ষিতা ফোনে যোগাযোগ করে পান নাই । অতঃপর ধর্ষিতা শাহবাগ থানায় মামলা করতে গেলে শাহবাগ থানা থেকে উনাকে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য বলেন। উনারা আদালতে মামলা করিলে, অতঃপর বিজ্ঞ আদালত মামলা রুজু করে তদন্তে নামে । এবং তদন্তভার পিবিআইকে দেওয়া হয় । ধর্ষিতা যুবতী এর সঠিক বিচারের আশাবাদী ।

আসুন যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই যৌন হয়রানির একটি সামাজিক ব্যাধি। এটি সামাজিক শৃঙ্খলাকে বিনষ্ট করে। আমাদের সমাজের বর্তমান যৌন হয়রানির মাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।নারীরা এখন অনেক ক্ষেত্রেই এই হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ফলে সমাজ তাদের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠেছে। নারীর স্বাধীনভাবে চলাফেরার অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে কতিপয় দুশ্চরিত্র লোকের কারণে। তারা নারীকে পণ্য মনে করে। ফলে তাদের হীন লালসার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। প্রাচীনকাল থেকেই এদেশে পুরুষশাসিত সমাজব্যবস্থা প্রচলিত থাকায় নারীরা এই যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। রাস্তা-ঘাট, অফিস-আদালত, আচার-অনুষ্ঠান সকল ক্ষেত্রেই নারীরা যৌন হেনস্থার শিকার হচ্ছে। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত,উচ্চবিত্ত কোন ক্ষেত্রেই নারীরা নিশ্চিতভাবে জীবন ধারণ করতে পারছে না। সমাজে নারীর স্বাধীনতাহীনতা, অধিকারবঞ্চনা,মর্যাদাহীনতা আর নিরাপত্তাহীনতার ফসলই হচ্ছে যৌন হয়রানি। যৌন হয়রানির বর্তমানে আমাদের দেশে জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে পহেলা বৈশাখের মতো জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতেও নারীরা আজ নিরাপদ নয়।অতীত ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর কোন বিচার না হওয়াতে অপরাধীরা যেন দিনকে দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x