ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
ডায়াবেটিস রোগীরাও পারবেন মিষ্টি খাবার খেতে
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

ডায়াবেটিস রোগীরাও খেতে পারবেন মিষ্টি খাবার!

বাংলাদেশসহ বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ডে একজন মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট)-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে মোট ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৬ লাখ আর ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ৮৪ লাখ। দিনে দিনে বাড়ছে এ রোগীর সংখ্যা। ডায়াবেটিস হলেই মিষ্টি জাতীয় খাবার সবাই পরিহার করা শুরু করেন

মিষ্টি খাবারের কথা শুনলেই ডায়াবেটিস বহনকারীরা মনে করতে শুরু করে এটা তাদের জন্য ক্ষতিকারক খাবার। মিষ্টি খাবার খাওয়াটাই হয়ে পড়ে তাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তারপরও মিষ্টি খাবারের প্রতি লোভ কাজ করে কমবেশি সবারই।

ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টি খাবার খেতে ভয় পান। বেশ কিছু খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হলেও বিপরীতে পুষ্টিকর খাবার বেছে নেওয়ার প্রচুর বিকল্পও রয়েছে। ঠিক তেমনি কিছু মিষ্টি খাবার রয়েছে, যা খেতে পারবেন ডায়াবেটিস রোগীরাও। আর মজার বিষয় হচ্ছে-সেগুলো স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে বরং উপকার করবে।

এমন কিছু মিষ্টি খাবারের তথ্য দেওয়া হলো:

১. ডার্ক চকলেট:

ডার্ক চকলেট আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করেই দূর করতে পারে মিষ্টি খাবারের চাহিদা। এতে থাকা ফ্লেভোনয়েড নামক এক ধরনের যৌগ থাকে, যেটি ইনসুলিন প্রতিরোধে সহায়তা করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগ থাকলেও খাওয়া যায়।

২. আপেল, নাসপাতি ও আঙুর:

এ ফলগুলো ডায়াবেটিস রোগের কোনো ক্ষতি করে না। তাই আপনার মুখে মিষ্টি স্বাদের চাহিদা পূরণ করতে পারে এ ফলগুলো। আর এসব ফলের মিষ্টি স্বাদ আপনার ডায়াবেটিসে কোনো ক্ষতি না করে এগুলোর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান উপকারী হিসেবে কাজ করবে।

৩. টকদই:

ডায়াবেটিস থাকলেও টকদই আপনার জন্য হতে পারে উপকারী। ২০০ গ্রাম টকদইয়ে প্রায় ২০ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। আর এ দইয়ের স্বাদ বাড়িয়ে নিতে এর সঙ্গে আপনার পছন্দের কিছু ফলও মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪. চিয়া পুডিং:

চিয়া পুডিং স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু এবং এটি খুব সহজ কয়েকটি উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। এতে থাকা চিয়া বিজে ফাইবার, প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ অ্যাসিড থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিয়া বিজ রক্তে শর্করার মাত্রা কমায় এবং ডায়াস্টলিক রক্তচাপ হ্রাসে সহায়তা করে। তাই এটি আপানি খেতে পারেন ডায়াবেটিস থাকলেও।

৫. বাদাম ও বীজের মিশ্রণ:

ডায়াবেটিস থাকলেও আপনি খেতে পারবেন বিভিন্ন বাদাম ও বীজের মিশ্রণ।  সাধারণত এ মিশ্রণে বিভিন্ন বাদাম, পেকন, কাজু, কুমড়োর বিজ ও সূর্যমুখী বীজ খেতে পারেন। আর এগুলোতে থাকা বিভিন্ন প্রোটিন ও ফাইবার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে কাজ করে।

৬. ফাইবার সমৃদ্ধ আইসক্রিম:

ফাইবারসমৃদ্ধ আইসক্রিম আপনি খেতে পারেন ডায়াবেটিস থাকলেও। তবে আগে নিশ্চিত হয়ে নেবেন যেন সেটিতে চিনি মেশানো না থাকে। এ জন্য আপনি খুব সহজ একটি উপাদান মিশিয়েই করে ফেলতে পারেন ফাইবার আইসক্রিম। আর সেটি হচ্ছে কলা। কারণ কলা হচ্ছে ফাইবারের অনেক ভালো উৎস।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x