গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আলোচিত সেই স্কুলশিক্ষিকা ফিরোজা খানমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যায় কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ফিরোজা খানমকে তার তারাশীর বাসা থেকে গ্রেফতার করে।
ফিরোজা খানম উপজেলার টুপুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও তারাশী গ্রামের জালাল উদ্দিন ফকিরের স্ত্রী।
জানা গেছে, স্কুলশিক্ষিকা ফিরোজা খানম গত কয়েক দিন আগে তার প্রতিবেশী মিজানুর রহমান তালুকদারের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে ভবন নির্মাণ শুরু করেন। মিজানুর রহমান তালুকদার বাধা দিতে গেলে সে লোকজন নিয়ে মিজানুর রহমান তালুকদারকে মারধর করেন। এ মারধরে মিজানুর রহমান তালুকদার গুরুতর আহত হন। ঘটনাটি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলে আলোচনায় আসেন ফিরোজা খানম।
মিজানুর রহমান তালুকদার বলেন, ফিরোজা খানম যে জায়গায় ভবন নির্মাণ শুরু করেছেন, সেই জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এ ছাড়া ওই জায়গার ওপর ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ফিরোজা খানম এই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ভবন নির্মাণ করছিলেন। আমি বাধা দিতে গেলে তিনি লোকজন নিয়ে আমাকে মারধর করেন। গত ১৮ আগস্ট বিষয়টি আমি আদালতকে অবহিত করি। আদালত ফিরোজা খানম ও তার স্বামী জালাল উদ্দিন ফকিরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ওই গ্রেফতারি পরোয়ানা পাওয়ার পর ফিরোজা খানমকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে জানার জন্য ফিরোজা খানমের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
কোটালীপাড়া থানার এসআই আব্দুল করিম বলেন, আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা পাওয়ার পর ফিরোজা খানমকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।