চার দিনের রিমান্ড শেষে আজ (১০ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হয় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে। নাতনিকে এক নজর দেখতে পিরোজপুর থেকে ছুটে এসেছেন নানা শামসুল হক।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় পরীমনিকে আদালতে আনা হয়। তারপর তাকে আদালতের গারদখানায় ঢোকানো হয়। ১২টা ৪৫ মিনিটে গারদখানার সামনে এসে দাঁড়ান পরিমনির নানা। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তিনজন আইনজীবী।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শামসুল হক বলেন, নাতনিকে দেখার জন্য আজ সকালে গ্রাম থেকে ঢাকায় এসেছি। তাকে অনেক দিন দেখি না।
নাতনির জামিন চান কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতে আইনজীবীরা আবেদন করবেন। আশা করি, আদালত জামিন দেবেন।
কথা বলার এক পর্যায়ে পুলিশ শামসুল হককে আদালতের ভেতরে নিয়ে যান।
এদিকে, মাদক দ্রব্য আইনে করা মামলায় পরীমনি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি। ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাসের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া বনানী থানার পর্নোগ্রাফি আইনের করা মামলায় রাজকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ। আজ এ মামলার রিমান্ড শুনানিও হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) পরীমনি ও রাজকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেলে পরীমনির বনানীর বাসায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানে যান র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র্যাব সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র্যাব। এ ঘটনায় পরের দিন পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। পরীমনিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যে র্যাব ওই অভিযানে যায় বলে জানায়। প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযান শেষে রাজকে বনানীর বাসা থেকে আটক করে রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা। রাজের বাসা থেকেও মাদক এবং পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব। এ ঘটনায় রাজের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুইটি মামলা করে র্যাব।
Leave a Reply