ঢাকা, বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন
বেগমগঞ্জে থানায় অভিযোগ করায় গুলি করে হত্যা, গ্রেফতার-৩
মোঃ বেল্লাল হোসেন নাঈম, স্টাফ রিপোর্টারঃ  

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে থানায় অভিযোগ করায় কিশোর মো.রাশেদকে (১৭) গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুর ৩টার দিকে গ্রেফতারকৃত তিন আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

গতকাল রোববার (৮ আগস্ট) রাতে এ ঘটনায় নিহতের পিতা তাজুল ইসলাম ১১জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত কয়েক জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, মো.রবিউল হোসেন রবিন, আবুল হোসেন ও ডাক্তার সোলাইয়ামন। তারা তিনজন মামলার ৫, ৭ ও ৮নং আসামি।পরে রবিবার দিবাগত রাত্রেই অভিযুক্ত তিন আসামিকে উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়ন  থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান সিকদার জানান, গ্রেফতারকৃত তিন আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত অপর আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, নিখোঁজের ৮ঘন্টা পর গত রোববার (৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে পুলিশ আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের হরিবল্লপুর গ্রামের অয়েদ আলী ভূঞা বাড়ির পশ্চিমে বাগান থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ মো.রাশেদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মো.রাশেদ (১৭) উপজেলার ৪নং আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের আলাইয়াপুর গ্রামের শেয়ার বাড়ি তাজুল ইসলামের ছেলে।

নিহতের মা পূর্ণিমা বেগম ও চাচাতো ভাই আনোয়ার জানান, রাশেদ ঢাকাতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। লকডাউনের কারণে কিছু দিন আগে বাড়িতে আসে। গত ৫-৬দিন আগে একদিন রাতে নিহত রাশেদের সাথে একই বাড়ির বেচু মিয়ার ছেলে রুবেলের (৩০) সাথে বাড়ির সামনের রাস্তায় চোখে টর্চ লাইটের আলো পড়াকে কেন্দ্র করে তার ঝগড়া বেধে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুবেলের সহযোগীরা রাশেদকে তিন দফায় বেধড়ক মারধর করে। পরে এ ঘটনায় তার পরিবার বেগমগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্তে আসে। পুলিশ তদন্তে আসায় তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এবার রুবেলের সহযোগী শাকিল,সুজন,আকবর,মারুফ,মঞ্জুসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা রাশেদের চাচা লোকমান হোসেনকে মারধর করে। সন্ত্রাসীরা রাশেদের চাচা লোকমানকে শাসিয়ে বলে থানায় অভিযোগ করেছ আমাদের বিরুদ্ধে? এখন আমাদের মামলা চালানোর খরচের টাকা দাও। এরপর গতকাল শনিবার রাত ১০টা থেকে নিখোঁজ ছিল নিহত রাশেদ। পরে সকাল ৬টার দিকে বাড়ি থেকে আনুমানিক পৌনে দুই কিলোমিটার দূরে অয়েদ আলী ভূঞা বাড়ির পশ্চিমে বাগানে তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয় এলাকাবাসী। নিহতের পরিবার দাবি করেন, থানায় লিখিত অভিযোগ করায় একই বাড়ির বখাটে রুবেলের অস্ত্রধারী সাঙ্গপাঙ্গরাই রাশেদকে ধরে নিয়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করে। এসব খুনিদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x