আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে কৃষিতে জমি চাষ, চারা রোপন, ধান কাঁটামাড়াই, আগাছা পরিস্কারসহ নানাবিধ যন্ত্রের ব্যবহার চালু হলেও গরুর হালের প্রয়োজন বাদ পরেনি। চাষ করা জমি সমান করা, অল্প পরিমানের জমি চাষাবাদ, বীজতলা প্রস্তুত করতে গরুর হাল ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না। অথচ সেই গরুর হাল আজ বিলুপ্ত প্রায়। সে কারণে কৃষক নিজে এবং দিনমজুর দিয়ে চাষ করা জমি সমান করার জন্য মই টানছেন কৃষকরা। বিষয়টি সোনাতন পদ্ধতির গরুর হালকে মনে করে দেয়। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় হাতে গোনা কয়েক জন কৃষকের গরুর হাল রয়েছে। যা দিয়ে এলাকার চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। যার জন্য মৌসুম আসলেই চোখে পড়ে কৃষক গরুর ভুমিকায় গিয়ে মই টানছেন প্রতিনিয়ত কৃষক। দক্ষিণ ধুমাইটারী গ্রামের কৃষক বাবু মিয়া জানান, পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করলেও, কাঁদা সমান করার জন্য গরুর হাল দিয়ে মই দিতে হয়। তাছাড়া অল্প পরিমানের জমি চাষ করতে গরুর হাল প্রয়োজন হয়। বর্তমানে গরুর হাল নেই বললে চলে। প্রতিদিনের হালের দাম ৫০০ টাকা। ঝিনিয়া গ্রামর গরুর হালের মালিক আব্দুল মালেক জানান, গরুর হালের উপকরণ গরু, লাঙল, মই, জোয়ালসহ গরুর খাবারের ভুষি, খৈয়ল, গুরার দাম অনেক বেশি। সে কারণে প্রতিদিনের হালের দাম ৫০০ হতে ৬০০ টাকা নিয়ে থাকি। তাছাড়া গরু লালন পালনে অনেক কষ্ট। আবার গরুর হাল সঠিক সময় না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে কৃষক নিজেই বা দিনমজুর নিয়ে হাত দিয়ে মই টানছে। উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকতা এ.কে.এম ফরিদুল হক জানান, গরুর হাল চাষাবাদের একটি প্রধান উপকরণ। বর্তমানে যন্ত্রের সাহায্যে চাষাবাদ কররেও গরুর হালের প্রয়োজন রয়েছে।