ঢাকা, শনিবার ১৮ মে ২০২৪, ১২:১৭ অপরাহ্ন
মুন্সীগঞ্জে ফল বিক্রেতার উপর হামলার অভিযোগ
এম,এ কাইয়ুম মাইজভান্ডারিঃ

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়ন বিনোদপুর এলাকার মৃত মোঃ লিয়াকত মিয়ার ছেলে মোঃ দুলু মিয়ার ওপর মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।

মারধরের ভুক্তভোগী মোঃ দুলু মিয়া জানান, গতকাল ০৫আগষ্ট বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় রেলিং মাঠে আমার ওপর হঠাৎ বিনোদ পুর এলাকার মাওলানার ছেলে মাহফুজ মারধর করে।

ভুক্তভোগী আরো দুলু বলেন, আমি একজন ফল বিক্রেতা গত ০২/০৮/২০২১ তারিখে বটতলা পূর্ব পাড়ার রকসি আমার নিকট হতে স্যামসাং ফোন বন্ধক রেখে ২০০০/- দুই হাজার টাকা ধার নেয়। রকসি ০৫/০৮/২০২১ তারিখে আমার কাছে বন্ধক রাখা মোবাইল ফিরে নিতে ও পাওনা টাকা দিতে বিনোদ পুর এলাকায় আসে এবং আমাকে মোবাইল করে ঐ বিনোদ পুর এলাকায় আসতে বলে। আমি ঐ সময় মুন্সীগঞ্জে থাকায় রকসিকে বলি আমার আসতে একটু দেরি হবে আপনি অপেক্ষা করেন।কিছুক্ষণ পরেই বিনোদ পুর এলাকার মাওলানার ছেলে মাহফুজ (২৭) ০১৯২৩৬৩৬৫০৮ এ নম্বর থেকে আমাকে মোবাইল দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এও বলে যে, ওই লেকগুলোর জন্য আমার সমস্যা হচ্ছে। তুই তাড়াতাড়ি আয়। লাগলে যত টাকা লাগে তোরে মাইরা  ফেলবো। এমন হুমকি শুনে ঘটনাস্থলে আমি না গিয়ে আমার ব্যবসায়ীকে পার্টনার মোঃ মনিরকে ফোন দিয়ে আমার স্ত্রী থেকে মোবাইল নিয়ে রকসিকে দিতে বলি এবং পাওনা টাকা রাখতে বলি। পরবর্তীতে মাহফুজ আমার আত্নীয় সাইদের মাধ্যমে বারবার ফোন দিয়ে ০৫/০৮/২০২১ তারিখে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বিনোদপুর এলাকায় ডেকে নেন। বিনোদ পুর এলাকায় যাওয়ার সাথে সাথেই মাহফুজ গলায় চেপে ধরে ও পোতায় পা দিয়ে আঘাত করে। মাহফুজ হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে মাথায় কোপ মারে। এতে আমার মাথার ডান পার্শ্বে আঘাতপ্রাপ্ত হই ও প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। মাথা থেকে রক্ত পড়া দেখে আমাকে ফেলে মাহফুজ ও সাইদ দুজনেই এক সাথে চলে যায়। ০৬/০৮/২০২১ তারিখে আমি মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আসলে ডাক্তার মাথায় সেলাই দেন ও চিকিৎসা দেন ( সাথে ডাক্তারি ব্যবস্থাপত্র সংযুক্ত) এমতাবস্থায় মাহফুজ আমাকে যে কোন সময় মেরে ফেলতে পারে বলে আমি আশঙ্ম করছি ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x