ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আকমল শেখ হত্যা মামলায় নাটকীয় মোড় নিয়েছে। গত ১১ এপ্রিল অধিকতর তদন্তের জন্য মামলার সকল কার্যক্রম ফরিদপুরের সিআইডির কাছে হস্তান্তর করার পর তদন্তে বেড়িয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
জানা যায়, মামলার তদন্ত চলাকালীন সময়ে তদন্তে বাদি পক্ষের গাজী শুভর সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় এবং হত্যা মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য অনুযায়ী হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গত ২৮ জুলাই তাকে উপজেলার ময়েনদিয়া বাজার থেকে গ্রেফতার করে ফরিদপুর সিআইডি। ওইদিনই শুভকে ফরিদপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেন।
গাজী শুভ চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামের গাজী শামসুজ্জামান খোকনের ছেলে। সে একই গ্রামের দেলোয়ার মাতুব্বর হত্যাকাণ্ডে ২০১৯ সালের ৫ এপ্রিল দায়েরকৃত মামলার এজাহারভূক্ত আসামী। তার বিরুদ্ধে বোয়ালমারী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুর সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. আকতার মিনা বলেন, মামলার তদন্ত চলাকালীন সময়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় এবং সাক্ষীদের সাক্ষ্যে তার নাম আসায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ রাতে চতুল ইউনিয়নের পোয়াইল গ্রামের কৃষক আকমল শেখকে (৬০) দুবৃর্ত্তরা কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় আকমল শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ বাদি হয়ে চতুল ইউপির চেয়ারম্যান শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটুকে হুকুমের আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।