এতোদিন বাংলাদেশের সবচেয়ে কম আয়তনের সিটি কর্পোরেশন ছিল সিলেট। তবে প্রতিষ্ঠার প্রায় দেড় যুগ পর সেই হিসেব-নিকেশ পাল্টে গেছে। বর্তমান আয়তনের দ্বিগুনের চেয়ে বেশি সীমানা বর্ধিত করার অনুমোদন পেয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
গতকাল ২৬ জুলাই সোমবার প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যদিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন এমপির দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলো। ২০১৫ সালে দেশে আসার পর থেকেই সিলেট-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন সিটি কর্পোরেশন এলাকা বর্ধিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সুনামগঞ্জ ও এশিয়ান মহাসড়কের মাঝামাঝি ১৮০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে সিটি কর্পোরেশন বর্ধিত করার দাবি জানান তিনি। সেই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান আয়তনের চেয়ে দ্বিগুন বর্ধিত হলো সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকা। চা বাগান, জলাশয়, হাওর সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরে রাখতে গিয়ে সেটি এর চেয়ে বেশি বৃদ্ধি করা যায়নি বলে জানা গেছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের আয়তন বৃদ্ধি পাওয়ায় সেবার পরিধিও বাড়বে বলে জানা গেছে। এই সেবার আওতায় আসবেন বর্তমানের চেয়ে দ্বিগুন জনসংখ্যার মানুষ। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম মোমেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইফজাল চৌধুরী এডুকেশন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত সমাজসেবী ইফজাল চৌধুরী।