ঢাকা, শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন
ঘাটাইলে কাঁটাখালী স্বপ্নের জল কুটির রেস্টুরেন্ট নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

টাঙ্গাইলে ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া-দেওপাড়া সড়কের কাটাখালীতে প্রতিষ্ঠিত ‘স্বপ্নের জলকুটির কফি হাউজ অ্যান্ড রেস্টুরেণ্ট’ নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রেস্টুরেণ্ট কর্তৃপক্ষ।

গতকাল ২৪ জুলাই শনিবার রেস্টুরেন্টের অন্যতম পরিচালক জুয়েল রানা ঘাটাইল ডট কমকে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠিত রেস্টুরেন্ট নিয়ে একটি মহল মিথ্যাচার করছে। সংবাদের নামে সেসব গল্প লেখা হয়েছে তা কাল্পনিক এবং উদ্ভট। এসব কল্পকাহিনীর ন্যূনতম ভিত্তি নেই। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে রেস্টুরেন্টটি চালু করেছি।

এই রেস্টুরেন্টের তিন উদ্যোক্তা গতকাল শনিবার রাতে ঘাটাইল ডট কম কার্যালয়ে এসে পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানান। রেস্টুরেন্টটির উদ্যোক্তা জুয়েল রানা, ইব্রাহিম মিয়া (আবু তাহের) এবং দেলোয়ার হোসেন সে সময় উপস্থিত ছিলেন।

উদ্যোক্তা জুয়েল রানা বলেন, উপজেলার ধলাপাড়া-দেওপাড়া সড়কে  কাটাখালী এলাকাটি সাধারণ মানুষের অবসর কাটানোর একটি কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী আসেন প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে। এই এলাকাটি নির্জন। দর্শনার্থীদের বৈকালিক চা-নাস্তা করার কোনো ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমরা সম্প্রতি রেস্টুরেন্টটি স্থাপন করেছি।

গভীর পানির উপর বাঁশ-কাঠ দিয়ে নির্মিত এই রেস্টুরেন্টটি দেখতে অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। রেস্টুরেন্টটি গত ঈদুল আযহার সময় সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয় বলে জানান জুয়েল।

জুয়েল রানা আরও বলেন, স্থানীয় ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে পোর্টালগুলো যে সংবাদ ছেপেছে তা শুধু ভিত্তিহীন না বরং সম্পূর্ণ কাল্পনিক। এই কল্পকাহিনীর কোনো বাস্তব ভিত্তি নেই। আমাদের বিরুদ্ধে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ মূল্য গ্র্রহণের অভিযোগ করা হয়েছে। কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান যুক্তিসঙ্গত কারণে যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

রেস্টুরেন্টে প্রবেশমূল্য হিসাবে ২০ টাকা নেয়ার তথ্যটি সঠিক হলেও তা সংবাদে বিকৃতভাবে উপস্থান করা হয়েছে। টিকেট কাটা-না কাটা নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ হওয়ার বিষয়টিও চরম অসত্য। কিশোর-গ্যাং গঠনের বিষয়টিও হাস্যকর। কারণ দর্শনার্থীদের অধিকাংশই ঘাটাইল উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসেন এবং তারা পরস্পর সুপরিচিত।

অভিযোগের বিষয়ে আমাদের বক্তব্য ছাড়া সংবাদ প্রকাশ করায় আমরা যেমন আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ পাইনি, তেমনি সংবাদটি তার মূল্য হারিয়েছে। এ ধরনের কাজ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদিকতার নীতি বিরুদ্ধ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জুয়েল রানা বলেন, দলমত নির্বিশেষে এলাকার সবাই আমাদের রেস্টুরেন্ট স্থাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। সবার সাথে আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালো। দু’একজন হয়তো ঈর্ষান্বিত হয়ে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিতে পারে। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি, ব্যবসার নৈতিকতা বজায় রেখে আমরা রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করছি।

বাঁশের কাঠামোর উপর নির্মিত রেস্টুরেন্টটিতে অতিরিক্ত লোকসমাগম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমরা টিকেট প্রথা চালু করেছি, যার উপর প্রতি সপ্তাহে লটারি করে আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হয়। এটি কোনোভাবেই স্থায়ী ব্যবস্থা নয়। বিভিন্ন উৎসবের সময় শুধু টিকেট দেয়া হয়।

সংবাদের প্রতিবাদ করে জুয়েল রানা আরও বলেন, কাঁটাখালী একটি নির্জন এলাকা। আগে রাতের বেলা এখানে প্রায়শই চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই হত। আমরা রেস্টুরেণ্ট চালু করার পর এখানে এসব অপরাধ সম্পুর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এসব অপরাধের সাথে জড়িতরা হয়তো আমাদের বিরুদ্ধে অপবাদ ছড়াচ্ছে।

লকডাউনের সময় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে নয় বরং সরকারের লকডাউন সংক্রান্ত নির্দেশনা মেনে আমরা রেস্টুরেণ্ট বন্ধ রেখেছি। লকডাউন শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা এটি পরিচালনা করবো।

জুয়ের রানা এলাকার সবাইকে তার রেস্টুরেন্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং মিথ্যা গল্প প্রচারকদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে সে সময় অনুরোধ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x