রবিবারের কোপা আমেরিকা ফুটবলের ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হচ্ছে আলোচিত ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। এ দুই দল নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উৎসাহ-উত্তেজনার কমতি নেই সমর্থকদের মধ্যে। ৬ জুলাই খেলা নিয়ে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা হয়। এর ফলে কোপা আমেরিকার ফাইনাল নিয়ে সংঘাতের আশঙ্কা থেকে পুলিশের বিশেষ টিম জেলায় মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া জেলার কোথাও বড় পর্দায় খেলা দেখার সুযোগ দেওয়া হবে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, ১১ জুলাই ভোর ৬টায় কোপা আমেরিকার ফাইনাল। এ খেলা নিয়ে ইতিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাল্টাপাল্টি হামলা হয়েছে। এজন্য খেলা নিয়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। খেলার দিন ভোর ৫টা থেকে মাঠে থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান কঠোর লকডাউন কার্যকরে ইউনিয়ন পর্যায়ের বিট পুলিশিংয়ের টিমগুলোর পাশাপাশি পুরো জেলায় পুলিশের ১১৬টি বিটে চারজনের দল করে মাঠে থাকবে। তবে কোপা আমেরিকার খেলা ঘিরে সমর্থকরা যেন সংঘাতে না জড়াতে পারেন সেজন্য বিশেষ টিমগুলো আরও বেশি তৎপর থাকবে। খেলা শুরুর আগ থেকেই পুলিশের বিশেষ টিমগুলো বিভিন্ন পাড়া-মহাল্লায় টহল দেবে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কেউ যেন ঘর থেকে বেরিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য বিশেষ নজরদারি থাকবে। খেলা দেখতে হবে ঘরে বসে। বাইরে বড় পর্দায় খেলা দেখার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। গ্রামপর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদেরর এসব বিষয়ে বলা হয়েছে। তারা পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। খেলাকে কেন্দ্র করে কাউকেই বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। তা ছাড়া খেলা শেষে বিজয় মিছিল করা যাবে না।’

উল্লেখ্য,৬ জুলাই বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল বাজারে নোয়াব মিয়াকে মারধর করেন আর্জেন্টিনা সমর্থক জীবন ও তার সহযোগীরা। ওইদিন সকালে নোয়াব মিয়ার ভাতিজা ব্রাজিল সমর্থক রেজাউলের সঙ্গে খেলা নিয়ে জীবনের বাগ্বিতন্ডা ও হাতাহাতির জেরে জীবন ও তার সহযোগীরা রেজাউলের চাচা নোয়াব মিয়াকে একা পেয়ে মারধর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওইদিন রাতেই জীবনের সহযোগী তিন আর্জেন্টাইন সমর্থককে মারধর করেন ব্রাজিল সমর্থকরা।