ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
রংপুর বিভাগে প্রাণঘাতি করোনায় ১২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৮৩৩
হীমেল মিত্র অপু

কঠোর লকডাউনের নবম দিনে রংপুর সড়কগুলোয় যানবাহনের সংখ্যা কমেছে। আজ শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য দিনের চেয়ে লোকজন কম বের হয়েছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে কিছুটা ভয় বেড়েছে। একেবারেই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই এখন আর ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। এ ছাড়া পুলিশের হাতে আটকের পাশাপাশি মামলার ভয়ও আছে।

রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল) ৮৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এ নিয়ে বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৪ জনে।

আজ শুক্রবার (০৯ জুলাই) দুপুরে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আবু মো. জাকিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলায় পাঁচজন; দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে দুইজন করে এবং পঞ্চগড়ের একজন রয়েছেন। একই সময়ে বিভাগে ২ হাজার ৬৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৩৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর জেলার ২৩৪ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ১৫১ জন, দিনাজপুরের ১২৩ জন, গাইবান্ধার ১১০ জন, পঞ্চগড়ের ৬৩ জন, নীলফামারীর ৬২ জন, কুড়িগ্রামের ৫৯ জন ও লালমনিরহাটের ৩১ জন রয়েছে। বিভাগে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, করোনাভাইরাস শনাক্তের শুরু থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রংপুর বিভাগে ১ লাখ ৭২ হাজার ১৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ৩১ হাজার ৬৯০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

নতুন করে মারা যাওয়া ১২ জনসহ বিভাগে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছ ৬২৪ জন। এর মধ্যে দিনাজপুর জেলার ২১৬ জন, রংপুরের ১২৩ জন, ঠাকুরগাঁওয়ের ১১৪ জন, নীলফামারীর ৪২ জন, লালমনিরহাটের ৩৯ জন, কুড়িগ্রামের ৩২ জন, গাইবান্ধার ৩১ জন ও পঞ্চগড়ের ২৯ জন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৭৭ জন।

বিভাগের আট জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায়। ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা ও স্থলবন্দর থাকা জেলাগুলোত বেড়েছে শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।

x