ঢাকা, শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪, ০৬:৩৩ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জে তিস্তা ভাঙন রোধে জিও টিউব ফেলা হচ্ছে
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জে অবিরাম বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পানির  ঢলে তিস্তা নদী উর্ত্ধসঢ়;তাল হয়ে পড়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি হওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আধুনিক প্রযুক্তির জিও টিউব ও বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে।

ভাঙ্গনের মুখে চর গুলোর হাজারও বসতবাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙনের শঙ্কায়। নদী পাড়ে বসবাসরত পরিবারগুলা।এছাড়াও ফসলসহ আবাদি জমি নদী ভাঙনে বিলিন হওয়ায় হতবাক চরবাসি।কোনো ভাবে থামছে না তিস্তার ভাঙন।তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে চলতি মৌসুমের নানা প্রজাতের ফসলসহ আবাদি জমি বিলিন হচ্ছে নদীর বুকে। টানা ভাঙনে নাকাল হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের পরিবারগুলো। গোটা বছরের ব্যবধানে হাজারও একর আবাদি জমিসহ দেড় হাজার বসত বাড়ি নদীগভে বিলিন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে হাজারও একর ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নদীর বুকে বিলিন হয়ে গেছে।

বিশেষ করে উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের উজান বোচাগাড়ি, পাঁচপীর খেয়াঘাট, তারাপুর ইউনিয়নের খোদ্দা, লাঠশালা ও হরিপুর ইউনিয়নের কাশিম বাজার খেয়াঘাটসহ কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত রাক্ষুসি তিস্তানদী এখন তার গতিপথ হারিয়ে পাড়ি জময়ে একাধিক শাখা নদীতে পরিনত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওইসব শাখা নদীতে এখন স্রোত দেখা দিয়েছে। স্রোতের কারণে উজানে ভাঙনে তিস্তার বালু চরের সবুজের সমারোহ ও বসতবাড়ি বিলিন  হওয়া আটক করতে জিও টিউব ফেলা হচ্ছে ভাঙন কেলাবিত এলাকা গুলোতে।

কথা হয় উজান বোচাগাড়ি গ্রামের স্কুল শিক্ষক হৃদয় কুমার সরকারের সাথে। তিনি বলেন গত এক সপ্তাহের অবিরাম বর্ষণ এবং উজানের ঢলে তিস্তার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বর্তমানে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভাঙনের শঙ্কায় অসংখ্য পরিবার। তাদের আশ্রয়স্থল নেই বললে চলে।

হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জাতীয় জানান, অবিরাম বর্ষনে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় এবং নদীতে তীব্র ভাঙনে  দেখা দিয়েছে অভাব নামক একটি  বড় সমস্যা  । নদী ড্রেজিং বা খনন করা ছাড়া নদী ভাঙন রোধ করা কোন ক্রমে সম্ভব নয়। নদী ভাঙন ঠেকাতে হলে স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এবিষয়ে  উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার চন্ডিপুর, তারাপুর, হরিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের কিছু চরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী(এমপি) র সঙ্গে মুটোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ভাঙন রোধে জিও টিউব ফেলা হচ্ছে। তিস্তার ভাঙন থেকে উপজেলার ভূখন্ড রক্ষায় বিশেষ বরাদ্দের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বরাদ্দ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

2 responses to “সুন্দরগঞ্জে তিস্তা ভাঙন রোধে জিও টিউব ফেলা হচ্ছে”

  1. … [Trackback]

    […] Here you can find 35768 additional Info on that Topic: doinikdak.com/news/32988 […]

  2. vigrx says:

    … [Trackback]

    […] Find More Information here to that Topic: doinikdak.com/news/32988 […]

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x